বহরমপুরের দৌলতাবাদে ইফতার পার্টিতে অধীর চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র।
রমজান মাস চলছে। লোকসভা ভোটের প্রচারে বেরিয়ে ইফতার মজলিসে হাজির হচ্ছেন করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা।
গত কয়েক দিন বহরমপুর কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী প্রচারের ফাঁকে বেশ কয়েকটি ইফতারে শামিল হয়েছেন। শুক্রবার তিনি দৌলতাবাদে একটি ইফতারে শামিল হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বহরমপুরের গোরাবাজারে একটি মসজিদে ইফতারে হাজির ছিলেন তিনি। গত কয়েক দিনে নওদা, বেলডাঙা, রেজিনগর, শক্তিপুর-সহ একাধিক জায়গায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে তিনি ইফতার মজলিসে যোগ দেন। পিছিয়ে নেই তাঁর প্রতিপক্ষ। বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান শুক্রবার সন্ধ্যায় শক্তিপুরে ইফতার মজলিসে উপস্থিত হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবারও তিনি বহরমপুরের খাগড়াঘাট এলাকায় একটি ইফতারে হাজির থেকে ইফতার সারেন। সম্প্রতি নওদা, বেলডাঙা, বড়ঞা-সহ নানা জায়গায় কর্মীদের সঙ্গে ইফতার করতে দেখা গিয়েছে ইউসুফকে। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জলঙ্গিতে ইফতারে যোগ দেন। শুক্রবার তিনি হরিহরপাড়ার ছয়ঘরিতে ইফতারে উপস্থিত ছিলেন। গত কয়েক দিনে ভগবানগোলা, রানিনগর, লালবাগ-সহ বিভিন্ন জায়গায় ইফতারে শামিল হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। শুধু প্রার্থীরাই নন, বিভিন্ন এলাকায় কর্মিসভাতেও ইফতারের আয়োজন হচ্ছে। নওদা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সফিউজ্জামান শেখ বলেন, “গরমে অধিকাংশ জায়গায় ভোটের প্রচার বা সভা হচ্ছে বিকেলের পর। রোজার মাস চলছে। যে সব কর্মী রোজা করেছেন, তাঁদের স্বার্থে কোথাও বড় পরিসরে, কোথাও ছোট ছোট ইফতার মজলিসের আয়োজন করা হচ্ছে। নওদায় আমাদের প্রার্থীও ইফতারে শামিল হয়েছিলেন।”
রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জনসংযোগ করেই থাকেন রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধিরা। ভোটের সময় তা আরও বাড়ে। ইফতারে তাই জনসংযোগের সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না কোনও দলই।
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা নওদার কংগ্রেস নেতা মোশারফ হোসেন বলেন, “এক সঙ্গে ইফতার করলে নেতা বা জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এলাকার মানুষের যোগাযোগ আরও নিবিড় হয়। কেউই এই সুযোগ হাতছাড়া করেন না।” মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান বলেন, “একসঙ্গে ইফতার করলে কর্মীরাও খুশি হন।”