রোদে প্রচারের ডাব ই ভরসা জঙ্গিপুর তৃণমূল প্রার্থীর। ছবি : অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।
রবিবাসরীয় ভোট-প্রচার জমে উঠল বহরমপুরে। এ দিন সকালে বহরমপুর শহর লাগোয়া ভাকুড়ি ১ পঞ্চায়েত ও মণীন্দ্রনগর পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান প্রচার করেন। রাতে বহরমপুর শহরে সভা করেন তিনি। এ দিন মণীন্দ্রনগরে বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহাও ভোটের প্রচার সেরেছেন।
এ দিন সকালে ইউসুফ ভাকুড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এবং মণীন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রোড শো করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর, বহরমপুরের পুরপ্রধান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়, জেলা পরিষদ সদস্য আশা খাতুন বিবি, তৃণমূল নেতা সারজু শেখরা। তাঁরা ওই সব এলাকায় কোথাও হেঁটে, কোথাও আবার গাড়ি করে প্রচার করেন।
গত লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়লেও বহরমপুর বিধানসভায় ‘লিড’ জিততে সাহায্য করেছিল কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীকে। অন্যদিকে, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বহরমপুর বিধানসভায় জয়ী হয়। যার জেরে এই বিধানসভায় তৃণমূলের সামনে শক্তিশালী দু’টি দল রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখে নাড়ুগোপাল নানা কর্মসূচি করছেন। শনিবার বিকেলে বহরমপুরে এসে নাডুগোপাল মুখোপাধ্যায়কে বহরমপুর বিধানসভায় নজর দিতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ইউসুফ যাতে জয়ী হন, সে বিষয়ে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ন কবীরকেও আরও সক্রিয় হতে বলেছেন তিনি। তারপর এ দিন সকাল থেকেই ইউসুফকে সঙ্গে নিয়ে হুমায়ুন, নাড়ুগোপাল বহরমপুরে ভোট প্রচারে নামেন। পরে নাড়ুগোপাল বলেন, ‘‘ইউসুফকে জয়ী করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন বহরমপুরবাসী।’’
এ দিন জোরদার প্রচার করে বিজেপিও। বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র দলীয় প্রার্থী নির্মল সাহাকে সঙ্গে নিয়ে বহরমপুর শহর লাগোয়া নবপল্লি, কেশবনগর, বানজেটিয়া এলাকায় ভোটের প্রচার করেন। সুব্রত পরে বলেন, ‘‘বোমা বন্দুকের স্তূপে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের এই রাজ্য। সেখান থেকে পরিত্রাণ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর নরেন্দ্র মোদীর প্রার্থী নির্মল সাহাকে জয়ী করানোর জন্য বহরমপুরের মানুষ মুখিয়ে রয়েছেন।’’