গোপন ব্যালটে গণভোট নিয়ে বাগদা উপনির্বাচনে প্রার্থী ঠিক করা হবে বলে জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের সমর্থনে রবিবার বাগদায় প্রচার সভায় এসেছিলেন অভিষেক। সেখানেই দাবি করেন, ২ লক্ষের ব্যবধানে জিতবেন বিশ্বজিৎ। বাগদার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন বিশ্বজিৎ। ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। অভিষেক বলেন, ‘‘জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে আমি আবার বাগদায় আসব। ৫০ হাজার মানুষ গোপন ব্যালটে ভোট দিয়ে উপনির্বাচনে তাঁদের প্রার্থী বেছে নেবেন। ৪টি বাক্স থাকবে। সেখানে সকলে ভোট দেবেন। মানুষ যাঁকে প্রার্থী চাইবেন, আমরা তাঁকেই প্রার্থী করব।’’
এ দিন সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর, বনগাঁর পুরপ্রধান গোপাল শেঠ। বিশ্বজিতের দাবি, মাঠ, রাস্তা, হেলিপ্যাড মিলিয়ে প্রায় ৪৭ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন এ দিন। অভিষেক বক্তৃতা করেন ২৮ মিনিট মতো। তারপর সভাস্থল ফাঁকা হতে শুরু করে। বিশ্বজিতের বক্তব্য, ‘‘বেলা ১২টা থেকে প্রবল গরমেও মানুষ সভায় এসেছিলেন। বিকেল ৪টের পরে কিছু মানুষ অধৈর্য হয়ে পড়েন।’’ অভিষেকের মতে, এ দিন যে পরিমাণ মানুষ মাঠ, হেলিপ্যাড, রাস্তায় ভিড় করেছিলেন, তাঁরা তৃণমূলকে ভোট দিলেই বনগাঁয় বিজেপি পরাজিত হতে পারে।
অভিষেকের সভায় ভিড় নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করছে বিজেপি। দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল পরে বলেন, ‘‘মেরেকেটে সাড়ে তিন হাজার মানুষ ছিলেন। সাধারণ মানুষ ছিলেন না। বাস-অটো-টোটো চালকদের জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পোশাক খুলিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের জড়ো করা হয়েছিল।’’ বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের পরাজয় নিয়ে অভিষেক যা বলেছেন, তার জবাবে দেবদাস বলেন, ‘‘মানুষ চোর তৃণমূলের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন। ভোটে তৃণমূল এর জবাব পেয়ে যাবে।’’