লকেটের নামে নিখোঁজ পোস্টার! —নিজস্ব চিত্র।
ভোটের আর মাত্র দিন সাতেক বাকি। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সভাও করে গিয়েছেন। তিনি ফিরতেই হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চুঁচুড়ায় নিখোঁজ পোস্টার পড়ল বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নামে। তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। এর নেপথ্যে তৃণমূল রয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। পাল্টা শাসকদলের দাবি, তারা এ সব করে না।
ভোটের মধ্যে হুগলির নানা জায়গায় লকেটের নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়তে দেখা গিয়েছে। কখনও পান্ডুয়া, কখনও চন্দননগর। এর জন্য বিজেপি দলগত ভাবে প্রথম থেকে তৃণমূলকে দুষলেও দলের একটি সূত্রের দাবি, অন্দরের একটি অংশের মধ্যে লকেটকে নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। দিন দুয়েক আগে হুগলির দলীয় কার্যালয়ে বিজেপির ‘অন্তর্দ্বন্দ্বের’ একটি ভিডিয়োও ভাইরাল হয়। তা নিয়ে ভোটের আবহে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। শুধু তা-ই নয়, শনিবার বাঁশবেড়িয়ায় দলের দুই পদাধিকারী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। দলীয় সূত্রে খবর, লকেটের উপর ক্ষোভ থেকেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। সেই আবহে রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সভার পরেই চুঁচুড়ায় লকেটের বিরুদ্ধে পোস্টার দেখা গেল। চুঁচু়ড়া স্টেশন রোড, ফার্ম সাইড রোডে ওই পোস্টারে ছয়লাপ। তাতে লেখা, ‘সন্ধান চাই, লকেট মানে পালাই, জানে হুগলি জানে সবাই’। পোস্টারে এ-ও দাবি, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ১৮ হাজার ভোটে হারার পর থেকেই চুঁচুড়ায় লকেটকে দেখা যায়নি। প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা ভোটে চুঁচুড়া থেকে দাঁড়িয়েছিলেন লকেট। কিন্তু তৃণমূলের অসিত মজুমদারের কাছে হেরে গিয়েছিলে তিনি।
পোস্টার বিতর্কে শাসক বিধায়ক অসিত বলেন, ‘‘লকেটকে দেখা যায়। দেখা যায় না, এটা ভুল কথা। ভোট এলে দেখা যায়।’’ পোস্টার কি তবে তৃণমূল মেরেছে? অসিত বলেন, ‘‘তৃণমূলের কেউ এ সব করে না।’’
বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, ‘‘যারা অন্ধ, তারা দেখতে পায় না। তারাই এই পোস্টার মেরেছে। আমার মনে হয়, তাদের চোখের ডাক্তার দেখানো দরকার। হুগলিতে বিজেপি জিতবে। মোদীজি চারশো পার করবে। মোদীর সভায় লোক দেখে তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে।’’