পাঁচ বছরে দেখা যায়নি, এখন এসে সাবান মাখাচ্ছেন! বাঁকুড়ার সভায় অভিষেকের নিশানায় সুভাষ সরকার
ভোটপ্রচারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার শালতোড়াতে জনসভা করলেন তিনি। ২০১৯ সালে এই লোকসভা কেন্দ্রে জয় পেয়েছিল বিজেপি।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
মূল ঘটনা
প্রচারে গিয়ে কেউ যদি বলেন, বিজেপি আবাসের টাকা দিয়েছে, তাঁকে বেঁধে রাখবেন: অভিষেক
‘‘কেউ যদি বলেন, বিজেপি আবাসের টাকা দিয়েছে, তাঁকে বেঁধে রাখবেন। মারবেন না। আমাকে ফোন করবেন। আমি রিপোর্ট কার্ড দিয়ে প্রতিনিধি পাঠাব। বলে দিয়ে গেলাম। দশ পয়সাও আবাসের জন্য দেয়নি মোদী সরকার।’’ তোপ অভিষেকের।
৪ জুন দেশে পরিবর্তন হবেই: অভিষেক
অভিষেকের কথায়, ‘‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মেয়াদ আর মাত্র ১০ দিন। ৪ তারিখ দেশে পরিবর্তন হবেই। কেউ আটকাতে পারবে না।’’
‘ক্ষমতা থাকলে সুভাষ সরকার রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসুন’
অভিষেক বলেন, ‘‘আমি চ্যালেঞ্জ করছি, ক্ষমতা থাকলে সুভাষ সরকার ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসুন। আমি ১৩ বছরের মা-মাটি-মানুষ সরকারের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসব। দেখাব, ১০ বছরে মোদী সরকার বাঁকুড়ার মানুষের জন্য কী করেছে, আর আমরা এখানে প্রত্যাশিত ফল না পাওয়ার পরেও কী করেছি।’’
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মোদীকে নিশানা অভিষেকের
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করলেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘‘২০১৪ সালে রান্নার গ্যাসের দাম ছিল ৪০০ টাকা, এখন হাজার টাকা। পেট্রল-ডিজ়েল, তেল, ডিম, রসুন সব কিছুর দাম বেড়েছে।’’
রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীও লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করতে পারবেন না: অভিষেক
অভিষেক বলেন, ‘‘আমি আছি তো, দেখি কে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে। যত দিন তৃণমূল সরকার রয়েছে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীও লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করতে পারবেন না।’’
‘লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করতে চায় বিজেপি’
বাঁকুড়ার সভা থেকে বিজেপিকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘‘২০১৯ সালে জিতে ১০০ দিনের টাকা, আবাসের টাকা বন্ধ করেছিল, এ বার জিতে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করতে চায়। তৃণমূল থাকতে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে না। সুভাষ সরকার ভোট চাইতে গেলে গাছে বেঁধে জিজ্ঞেস করবেন, আপনাদের নেত্রী বলছে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করবেন, তাতে আপনার দলের অবস্থান কী?’’
বকেয়া ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা
অভিষেক বলেন, ‘‘প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ প্রকৃত প্রাপক ১০০ দিনের কাজের টাকা পাননি তিন বছর ধরে। কিন্তু সুভাষ সরকার এবং বিজেপি বিধায়কেরাই মানুষের টাকা বন্ধ করেছেন।’’
‘ভোট এসেছে তাই সুভাষ সরকার জুতো পালিশ করছে, সাবান মাখিয়ে দিচ্ছে’
অভিষেকের কথায়, ‘‘পাঁচ বছরে পাঁচ সপ্তাহও সুভাষ সরকার এই লোকসভা কেন্দ্রকে দেননি। এখন ভোট এসেছে তাই আপনাদের জুতো পরিষ্কার করছে, সাবান মাখিয়ে দিচ্ছে। আমি মায়েদের বলব, এদের দিয়ে শৌচালয়ও পরিষ্কার করিয়ে নেবেন।’’
সুভাষ সরকারকে আক্রমণ
বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ সুভাষ সরকারকে আক্রমণ করেন তৃণমূলের সেনাপতি। তিনি বলেন, ‘‘২০১৯ সালে এক বুক আশা, ভরসায়, মোদীজির কথায় বিশ্বাস করে এই বাঁকুড়া থেকে সুভাষ সরকারকে জিতিয়ে সাংসদ করে দিল্লিতে পাঠিয়েছিলেন। নবজোয়ারে অনেকে বলেছে ভুল করে বিজেপিকে ভোট দিয়েছি। পাঁচ বছরে পাঁচ সপ্তাহ সময়ও এখানকার প্রতিনিধি আপনাদের দেননি।’’
‘নারীশক্তির সমর্থন থাকলে কেউ হারাতে পারবে না’
অভিষেক বলেন, ‘‘নারীশক্তি বা মাতৃশক্তির সমর্থন থাকলে কাউকে ষড়ষন্ত্র করে ফাঁসানো যায় না। কেউ হারাতে পারবে না। বাঁকুড়ায় নবজোয়ার কর্মসূচি সময় মায়েরা রাত ১০-১১টা সময়ও আমাকে আশীর্বাদ করার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন।’’
অভিষেক বাঁকুড়ার জনসভায়
বাঁকুড়া লোকসভা আসনের অন্তর্গত শালতোড়ার জনসভায় বক্তৃতা করছেন অভিষেক। তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর সমর্থনেই এই সভা। ষষ্ঠ দফায়। ২৫ মে এই লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ রয়েছে। এখানকার বিদায়ী সাংসদ সুভাষ সরকারকে এ বারও প্রার্থী করেছে বিজেপি।