উত্তর কলকাতার বাম কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্যের সমর্থনে পদযাত্রায় প্রদীপ ভট্টাচার্য ও বিমান বসু ইন্তালিতে। ছবি রণজিত নন্দী
সপ্তম ও শেষ দফার ভোটের প্রচারের শেষ লগ্নে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় কোর বেঁধেই ময়দানে নামল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। রোড-শো্, জনসভা, মিছিলে একসঙ্গে দেখা গেল দু’দলের নেতৃত্ব ও প্রার্থীদের। প্রচারে ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো।
কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্যের সমর্থনে বুধবার কেন্দ্রীয় মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল এন্টালি থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত। তার অনুমতিও নেওয়া ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রোড-শো করে যাওয়া পথেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন পদযাত্রা করবেন বলে ঠিক হওয়ায় কলেজ স্ট্রিটে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। দু’পক্ষের নেতাদের সঙ্গে পুলিশ-কতার্দের বচসাও হয়। প্রার্থী প্রদীপের সঙ্গে মিছিলে ছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, রাজ্যের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান, এআইসিসি-র সহ-পর্যবেক্ষক বি পি সিংহ প্রমুখ। সিপিএমের কনীনিকা ঘোষ, অনাদি সাহু, কংগ্রেসের অমিতাভ চক্রবর্তী, সুমন রায়চৌধুরী, সিপিআইয়ের প্রবীর দেবেরাও ছিলেন মিছিলে। পরে রাজাবাজারে প্রদীপের সমর্থনে জনসভায় ছিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাট।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিযেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের নানা জায়গায় ‘সন্ত্রাসে’র অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। ওই কেন্দ্রে দলের প্রার্থী প্রতীক-উর রহমানকে নিয়ে এ দিন সাতগাছিয়ার নোদাখালি, খুঁড়ির পোল, মহেশতলার সন্তোষপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় রোড-শো ও সভা করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের সমর্থনে বিজয়গড়ে সভা থেকে দলের যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘লুটেরাদের হারাতে হবে এই নির্বাচনে। বামপন্থীদের শক্তি বাড়ছে দেখেই প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী, দু’জনে পাল্লা দিয়ে সিপিএম সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছেন।’’ বাঁশদ্রোণীর সভা থেকে একই কথা বলেছেন ছাত্র সংগঠনের নেত্রী দীপ্সিতা ধরও। আর সৃজন এ দিন বলেছেন, পরপর তিন বার যাদবপুরে তৃণমূল সাংসদ হলেও এলাকায় বহু কাজ বাকি। মানুষ তাঁদের সুযোগ দিলে মেট্রো রেল সম্প্রসারণ, সরকারি বাস-সহ পরিবহণ ব্যবস্থার হাল ফেরানো, বারুইপুরে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তৈরির মতো কাজে তাঁরা জোর দিতে চান। ‘ন্যায়পত্র’ বিলি করে যাদবপুরে বাম প্রার্থীকে জেতানোর আবেদন করেছেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরাও।