CPM-Congress

বাম-কংগ্রেস জোট প্রদীপ বিশ্বাসকে প্রার্থী করল বনগাঁয় 

গত লোকসভা ভোটে একাই লড়েছিল কংগ্রেস। বনগাঁ লোকসভার মধ্যে থাকা নদিয়ার দুটি বিধানসভা হরিণঘাটা এবং কল্যাণীতে বেশ পিছনেই শেষ করেছিল তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কল্যাণী শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:২৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

তৃণমূল, বিজেপি ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে পড়েছে। তবে বাম-কংগ্রেসের দেওয়াল অবশ্যই এতদিন ফাঁকাই ছিল। অবশেষে রবিবার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্য প্রদীপ বিশ্বাস বনগাঁয় প্রার্থী হচ্ছেন। গত বিধানসভা ভোটে কল্যাণী, হরিণঘাটার মতো জায়গায় সামান্য হলেও কংগ্রেসের ভোট বেড়েছিল। সেই ভোট আরও বাড়ার আশাতেই এবার ঝাঁপাতে চাইছে বাম-কংগ্রেস জোট।

Advertisement

গত লোকসভা ভোটে একাই লড়েছিল কংগ্রেস। বনগাঁ লোকসভার মধ্যে থাকা নদিয়ার দুটি বিধানসভা হরিণঘাটা এবং কল্যাণীতে বেশ পিছনেই শেষ করেছিল তারা। হরিণঘাটায় তাদের প্রাপ্ত ভোট ছিল ১.৪১ শতাংশ। বামেরা পায় ৬.৭০ শতাংশ ভোট। সেবার কল্যাণীতে কংগ্রেস পায় ১.৩৯ শতাংশ এবং বামেরা পায় ৮.২৩ শতাংশ। বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতা হয়। সেবার অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও কল্যাণীতে বাম কংগ্রেস ১০.০৬ শতাংশ এবং হরিণঘাটায় ১১.৭৬ শতাংশ ভোট পায়।

ফলে সার্বিকভাবে বাম-কংগ্রেস জোট একত্রিত হওয়ায় বিধানসভা ভোটে তাদের ভোটের শতকরা হার বেড়েছিল বেশ কিছুটা। এবার বাম-কংগ্রেস জোটের তরফে বনগাঁয় যাঁকে কংগ্রেস প্রার্থী করছে সেই প্রদীপ বিশ্বাস আদতে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বাসিন্দা। এক সময়ে তিনি পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। বাগদা ব্লকের কংগ্রেস, যুব কংগ্রেস এবং কংগ্রেস সেবা দলের সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন এক সময়। পঞ্চায়েত সমিতির এবং জেলা পরিষদের প্রার্থীও হয়েছেন তিনি। তবে জিততে পারেননি।

Advertisement

ছাত্রাবস্থা থেকেই কংগ্রেস রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত প্রদীপ পেশায় বাগদার চাঁদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের এসসিএসটি সেলের চেয়ারম্যান পদে আছেন। গত লোকসভা ভোটে কংগ্রেস যাঁকে বনগায় প্রার্থী করেছিল সেই রাহুল প্রসাদ বনঁগা লোকসভার বাসিন্দা নন। ফলে এবার ভূমিপুত্রকে ঘিরে নিজেদের ভোট বাড়বে বলেই দাবি কংগ্রেসের।

নদিয়ার দক্ষিণ প্রান্তে কল্যাণী শিল্পাঞ্চল এক সময় সিপিএমের দুর্গ ছিল। কল্যাণী, হরিণঘাটা এলাকায় সামান্য হলেও ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে কংগ্রেসেরও। বিজেপি ও তৃণমূলের লড়াইতে অবশ্য এখানে বাম, কংগ্রেস পিছিয়ে পড়েছে অনেকটাই। সেখান থেকেই এবার তাদের উত্থানের লড়াই। এমনিতেই তৃণমূল, বিজেপির কাছে প্রচার পিছিয়ে পড়েছেন তাঁরা অনেকটাই। এবার দ্রুত তাই প্রচারে নামতে চাইছেন তাঁরা। দুই দলের মধ্যে আলোচনা করে দ্রুত যৌথ প্রচার শুরু হবে বলে জানিয়ে প্রদীপ বলেন, "দুই দলের তরফে কথা বলে খুব তাড়াতাড়ি যৌথ প্রচার শুরু হবে। প্রার্থী ঘোষণার পর রাত থেকেই প্রচার শুরু হয়েছে আমাদের। এবার এখানে আমাদের ভোট আরও বাড়বে।"

সিপিএমের নদিয়া জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, "তৃণমূল, বিজেপি উভয়ই মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। সেটা মানুষ বুঝতে পেরেছেন। মানুষের জন্য লড়াই যাঁরা করছেন মানুষ সেই বাম-কংগ্রেসের দিকেই থাকবেন। বিভিন্ন জায়গায় আমরা মানুষের থেকে সেই সাড়া পাচ্ছি।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement