ভিড়িঙ্গি কালীমন্দিরে কীর্তি আজাদ। —নিজস্ব চিত্র।
প্রচারে দুর্গাপুরে এসেই বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়লেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। পেশাদার রাজনীতিকের মতো তা সামলাতে প্রতি-আক্রমণে যেতে দেখা গিয়েছে ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের গুরুত্বপূর্ণ
এই সদস্যকে।
প্রার্থী হওয়ার পরে সোমবার রাতে দুর্গাপুরে ফেরেন কীর্তি। মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুরে প্রচার সারেন তিনি। সকালে ভিড়িঙ্গীর কালীমন্দিরে পুজো দিতে যান কীর্তি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, দলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, প্রাক্তন পুর-প্রতিনিধি প্রভাত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। এর পরে তৃণমূল প্রার্থী যান ডিএসপি টাউনশিপের বিধানভবনে। সেখানে কর্মীসভায় যোগ দেন তিনি।
কীর্তিকে তৃণমূল প্রার্থী করার পরে বিজেপি তাঁর গায়ে ‘বহিরাগত’ তকমা সেঁটে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ দিন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার দাবি করেন, ‘‘দিল্লির ক্রিকেট বোর্ডের কর্তা থাকাকালীন দুর্নীতিতে জড়িয়েছিলেন কীর্তি। তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তৃণমূল হল দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের আস্তানা।’’
বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক তথা দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের খোঁচা, ‘‘কীর্তি বিহার থেকে বাংলায় এসেছেন। বর্ধমান-দুর্গাপুরের মানুষ লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে পথ দেখিয়ে দেবেন।’’ ইতিমধ্যেই বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে কীর্তির বাবা ভগবত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ভাগলপুরে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল প্রার্থীর পরিবারের গায়ে পরোক্ষে ‘বাঙালি বিদ্বেষী’ ছাপ মারার চেষ্টা করেন।
এ দিন কীর্তি বলেন, ‘‘সিপিএম ও বিজেপি হল মুগ এবং মুসুর
ডাল। যদি এরা মায়ের দুধ খেয়ে
থাকে, তা হলে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে এক পয়সার দুর্নীতির প্রমাণ দিক।’’ দুর্নীতির বিরুদ্ধেই তাঁর লড়াই দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘অরুণ জেটলি প্রয়াত হয়েছেন। দিল্লি ক্রিকেট বোর্ডের কাগজপত্রে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমিই সরব হয়েছিলাম।’’ বিজেপির আইটি সেলের প্রধানের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘দেশের সব জায়গায় ওঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বহু জায়গায় তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।’’ কীর্তির প্রশ্ন, ‘‘আমার বাবার বিরুদ্ধে কোথাও কোনও এফআইআর নেই কেন?’’ বিজেপি ভয় পেয়ে উল্টোপাল্টা বকছে বলে দাবি তৃণমূল প্রার্থীর।