Lok Sabha Election 2024

অগ্নিপথ প্রকল্পে আপত্তি জেডিইউর, জাতগণনার দাবিও উঠল, বিজেপিকে চাপে রাখার কৌশল?

বৃহস্পতিবার জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগী বলেন, “ভোটদাতাদের একাংশ অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন। আমাদের দল চায়, জনগণের তোলা প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা হোক এবং এটি প্রত্যাহার করা হোক।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২৪ ১৭:০৬
Share:

নীতীশ কুমার। —ফাইল চিত্র

শরিক নির্ভর বিজেপির উপর চাপ বৃদ্ধি করল জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)। বৃহস্পতিবার নীতীশ কুমারের দলের তরফে জানানো হয়েছে, অগ্নিপথ প্রকল্প পুনর্বিবেচনা করে দেখুক কেন্দ্রীয় সরকার। বিজেপির ইস্তাহারে উল্লিখিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়েও জেডিইউর খানিক বেসুরো স্বর শোনা গিয়েছে। তা ছাড়া জাতগণনা নিয়ে নিজেদের অবস্থানের কথা আরও এক বার স্পষ্ট করে দিয়েছে এনডিএ-র এই শরিক দল। সব মিলিয়ে শপথগ্রহণের আগে শরিকদের তরফে বিজেপির উপর চাপ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকল বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগী সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, “ভোটদাতাদের একাংশ অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন। আমাদের দল চায়, জনগণের তোলা প্রশ্নগুলো নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হোক এবং এটি প্রত্যাহার করা হোক।” প্রসঙ্গত, ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সি যুবকদের সেনাবাহিনীতে কাজ করার সুযোগ দিতে অগ্নিপথ প্রকল্প আনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বলা হয়, সেনায় চাকরি পাওয়া যুবকদের মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশকে ১৫ বছরের জন্য বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু সেনায় এই অস্থায়ী চাকরির বন্দোবস্ত নিয়ে যুব সম্প্রদায়ের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ চরমে ওঠে। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিপর্যয়ের নেপথ্যে এই অগ্নিপথ-ক্ষোভকে দায়ী করেছেন অনেকে। বিরোধী দলগুলি আগেই এই প্রকল্প বন্ধ করার দাবি তুলেছিল। এ বার বিজেপির শরিক দলও একই দাবি তোলায় অস্বস্তিতে পদ্মশিবির।

অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে জেডিইউ-র বক্তব্য, তারা এই ব্যবস্থার বিরোধী নয়। কিন্তু আইন প্রণয়নের আগে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলার পক্ষপাতী তারা। জাতগণনা নিয়ে ফের সরব হয়ে জেডিইউ নেতা ত্যাগী বলেন, “কোনও দল বলতে পারবে না যে, তারা জাতগণনা চায় না। বিহার পথ দেখিয়েছিল। সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী (মোদী)-ও এর বিরোধিতা করেননি। তাই জাতগণনা সময়ের দাবি।” বিহারের বিশেষ মর্যাদার দাবিতেও সরব হয়েছে জেডিইউ। কেবল এক দেশ এক ভোট নিয়ে বিজেপির অবস্থান এবং নীতীশের দলের অবস্থান হুবহু মিলে গিয়েছে।

Advertisement

নীতীশের দল এ বার বিহারের ১২টি আসনে জয়ী হয়েছে। আসনসংখ্যার বিচারে এনডিএ-তে বিজেপি, তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র পরেই তৃতীয় বৃহত্তম দল জেডিইউ। গত দু’বারের মতো এ বার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। তাই সরকার চালাতে নীতীশ এবং চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপির উপরে অনেকটা নির্ভর করে চলতে হবে পদ্মশিবিরকে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির একাধিক রাজনৈতিক প্রকল্প নিয়ে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়ে নীতীশের দল আদতে মোদী-শাহদের উপরে চাপ বৃদ্ধি করল বলেই মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement