(বাঁ দিক থেকে) অমিত শাহ, ইয়েদুরাপ্পা এবং ঈশ্বরাপ্পা। — ফাইল চিত্র।
বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার ফোন করেছিলেন তাঁকে। কর্নাটকের শিমোগা লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার সে রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী কেএস ঈশ্বরাপ্পা জানিয়ে দিলেন, সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন তিনি।
শিমোগায় এ বারও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার ছেলে তথা বিদায়ী সাংসদ বিওয়াই রাঘবেন্দ্রকে বিজেপি প্রার্থী করেছে। কংগ্রেস প্রার্থী করেছে কর্নাটকের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এসআর বঙ্গারাপ্পার কন্যা তথা সে রাজ্যের বর্তমান স্কুল শিক্ষামন্ত্রী মধু বঙ্গারাপ্পার দিদি গীতা শিব রাজকুমারকে। গীতা কন্নড় চলচ্চিত্র তারকা প্রয়াত রাজকুমারের পুত্রবধূ। এই পরিস্থিতিতে সেখানে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা কার্যত নিশ্চিত।
ঈশ্বরাপ্পার দাবি, ২০২২ সালে কর্নাটকের বিধানসভা ভোটের সময় তৎকালীন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন হাভেরী আসনটি তাঁর পুত্র কান্তেশকে ছাড়া হবে। কিন্তু গত মাসে প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পরে দেখা যায়, ওই আসনে পদ্ম চিহ্নে লড়বেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। ঘটনাচক্রে, কর্নাটক বিজেপির সভাপতি পদে এখন রয়েছেন ইয়েদুরাপ্পার আর এক পুত্র বিজয়েন্দ্র। তার পরেই ‘বিদ্রোহী’ হয়েছেন ঈশ্বরাপ্পা। এমনকী, গত ১৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কর্নাটক সফরে এলেও সভায় দেখা যায়নি তাঁকে।
ইয়েদুরাপ্পার জেলা শিবমোগ্গার প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা ঈশ্বরাপ্পা ২০২২ সালের গোড়ায় দুর্নীতি এবং এক ঠিকাদারকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তার জেরে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন। এর পর বিধানসভা ভোটেও টিকিট পাননি তিনি। তাঁর ছেলে কান্তেশকেও মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। সে সময় জল্পনা তৈরি হয়েছিল, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং আর এক প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সড়াভীর মতো ঈশ্বরও কংগ্রেসে যোগ দেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং ফোন করে ঈশ্বরাপ্পাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।