বাঁ দিক থেকে, পবন খেরা এবং ধর্মবীর গান্ধী। ছবি: এক্স হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।
পঞ্জাবের পটিয়ালার প্রাক্তন ‘আম আদমি পার্টি’ (আপ) সাংসদ ধর্মবীর গান্ধী সোমবার কংগ্রেসে যোগ দিলেন। এআইসিসির পর্যবেক্ষক পবন খেড়া, পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অমরিন্দর সিংহ রাজা এবং সে রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা প্রতাপ সিংহ বাজওয়ার উপস্থিতিতে ধর্মবীর তাঁর দল ‘নওয়া পঞ্জাব পার্টি’কে কংগ্রেসে মিশিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে পটিয়ালায় কংগ্রেস প্রার্থী প্রীণিত কউরকে হারিয়েছিলেন ধর্মবীর। সে বার কেবল পঞ্জাব থেকেই চারটি আসন পেয়েছিল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল। তার পরে প্রশান্ত ভূষণ ও যোগেন্দ্র যাদবের নেতৃত্বে দলের একটি অংশ বেরিয়ে যাওয়ায় দিল্লিতে আপ-এ বড়সড় ভাঙন ধরে। ধর্মবীরের পাশাপাশি ফতেগড় সাহিবের সাংসদ হরেন্দ্র সিংহ খালসাও আপ প্রধান কেজরীওয়ালের কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন ২০১৫-য়।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে ‘নওয়া পঞ্জাব পার্টি’ গড়ে পটিয়ালা থেকেই ভোটে লড়েছিলেন ধর্মবীর। সে বার শিরোমণি অকালি দলের প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন পঞ্জাবের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহের স্ত্রী প্রীণিত। আপ প্রার্থীকে চতুর্থ স্থানে ঠেলে এক লক্ষ ৬১ হাজার ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন ধর্মবীর। অমরিন্দর এবং প্রীণিত দু’জনেই এখন বিজেপিতে। লোকসভা ভোটে প্রীণিতকে পটিয়ালায় প্রার্থীও করেছে বিজেপি। কংগ্রেস সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে এ বার ‘হাত’ চিহ্নে লড়তে চলেছেন ধর্মবীর। প্রসঙ্গত, দিল্লি, হরিয়ানা, গুজরাত, চণ্ডীগড়ে কংগ্রেস এবং আপের আসন সমঝোতা হলেও পঞ্জাবে দু’দলের মুখোমুখি লড়াই হচ্ছে এ বার।