(বাঁ দিকে) কমল নাথ এবং রাহুল গান্ধী। — ফাইল চিত্র।
তাঁর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই কংগ্রেসের বৈঠকে ‘যোগ দিলেন’ মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। মধ্যপ্রদেশে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ সফল করার জন্য মঙ্গলবার সে রাজ্যের রাজধানী ভোপালে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব বৈঠক করেন। সেখানেই দিল্লি থেকে ‘ভিডিয়ো কনফারেন্স’-এ যোগ দেন কমল।
এআইসিসির একটি সূত্র জানাচ্ছে, ওই বৈঠকে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রাহুলের যাত্রা সফল করার জন্য ঐক্যবদ্ধ ভাবে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের কাজ করার জন্য সওয়াল করেন। প্রসঙ্গত, সোমবার কমলের দিল্লির বাড়ি থেকে নামানো হয়েছিল ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা গেরুয়া পতাকা। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের আশা, শেষ পর্যন্ত কমল এবং তাঁর পুত্র তথা কংগ্রেস সাংসদ নকুল নাথ দলেই থেকে যেতে পারেন।
মঙ্গলবার সকালে মধ্যপ্রদেশ সফরে গিয়ে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক জিতেন্দ্র সিংহ জানিয়েছিলেন, আগামী লোকসভা ভোটে কমলের খাসতালুক ছিন্দওয়াড়া থেকে তাঁর সাংসদ পুত্র নকুলকেই আবার প্রার্থী করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘তিনি (নকুল) ওখান (ছিন্দওয়াড়া) থেকে শক্তিশালী প্রার্থী। অবশ্যই আবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।” ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে মধ্যপ্রদেশের ২৯টি আসনের মধ্যে ২৮টিতে জিতেছিল বিজেপি। শুধুমাত্র কমলের খাসতালুক ছিন্দওয়াড়ায় তাঁর পুত্র নকুল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছিলেন।
কমল-পুত্র নকুল শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডল থেকে ‘কংগ্রেস’ পরিচয় মুছে দেওয়ার পরে জল্পনা তৈরি হয় এ বার ছিন্দওয়াড়ার কংগ্রেস সাংসদ এবং তাঁর বাবা বিজেপিতে যোগ দেবেন। শনিবার বিকেলে কমল দিল্লি পৌঁছনোর পরে তাঁর বাড়িতে হঠাৎ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বাড়ানোর পরে সেই আশঙ্কা আরও দৃঢ় হয়েছিল কংগ্রেসের অন্দরে। সোমবার সকাল পর্যন্ত তাঁর দিল্লির বাড়ির ছাদে উড়ছিল ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা। কিন্তু দুপুরে তা নামিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনাচক্রে, তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন কি না, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কমল নিজে কিছুই বলেননি। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, দিল্লিতে চুরাশির শিখ দাঙ্গার তদন্তে গঠিত ‘সিট’-এর কাছে কমল নাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে দিল্লি হাই কোর্ট রিপোর্ট চেয়েছে। এপ্রিলের মধ্যে তা দিতে বলা হয়েছে। কমল নাথের ভাগ্নে রাতুল পুরী-সহ বেশ কয়েক জন আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডি-র ব্যাঙ্ক প্রতারণা ও আর্থিক নয়ছয়ের মামলা চলছে। তা নিয়েই কমল ও তাঁর ছেলে ছিন্দওয়াড়ার সাংসদ নকুলের উপরে চাপ রয়েছে বলে কংগ্রেসের একটি সূত্রের দাবি।