সোমবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে জুন মালিয়া (উপরে)। একুশের প্রচার শুরুতে(নীচে)। নিজস্ব চিত্র ।
ছোট মাঠের জয়ীকে বড় মাঠে খেলতে নামিয়েছেন দলনেত্রী। তাঁর অনুপ্রেরণা নিয়েই ছোট মাঠের সাফল্যকে তুলে রেখে বড় লড়াইয়ে নেমে পড়লেন প্রার্থী। টিকিট নিশ্চিত হওয়ার পরের দিন সোমবার মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া প্রচার শুরু করলেন যেন শূন্য থেকে। ২০২১ এর মার্চে বিধানসভার প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর মেদিনীপুরের মাটিতে পা রেখে যা যা করেছিলেন এ দিনও করলেন তাই। এমনকি, পরনের শাড়িটিই ছিল এক।
জুন মানছেন, ‘‘ঠিক, সেই শাড়িটাই।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এই শাড়িটা পরেই আমি সে বার মেদিনীপুরে এসেছিলাম। এই ফেডারেশন হলেই এসেছিলাম। আজ যখন মেদিনীপুরে আসার জন্য রেডি হচ্ছিলাম, তখন শুরুতে ভেবেছিলাম একটা অন্য শাড়ি পরব। তারপর ভাবলাম না, এই শাড়িটাই পরব। যে শাড়িটা পরে প্রথম দিন গিয়েছিলাম মেদিনীপুরে, সেই শাড়িটা পরেই যাব।’’ সে বার মেদিনীপুরে পৌঁছে শুরুতে জুন গিয়েছিলেন প্রয়াত বিধায়ক মৃগেন মাইতির বাড়ি। মৃগেনের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেছিলেন। সম্প্রতি ফেডারেশন হলের সামনে মৃগেনের আবক্ষ মূর্তি বসানো হয়েছে। এ দিন শহরে পৌঁছে শুরুতে মৃগেনের মূর্তিতে মাল্যদান করেছেন তিনি। তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এরপর দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন। সোমবার জেলায় পৌঁছে জুন প্রথমে যান নারায়ণগড়ে। ১৬ মার্চ সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা রয়েছে। তাঁর সমর্থনেই সভা করবেন অভিষেক। প্রস্তাবিত সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তিনি। নারায়ণগড় থেকে আসেন মেদিনীপুরে।
তিন বছর আগের কথা স্মরণ করিয়ে জুন যখন বড় লড়াইয়ের বার্তা দিচ্ছেন তখন তাঁর পাশে ছিলেন পুরপ্রধান সৌমেন খানরা। স্থানীয় রাজনীতিতে যিনি জুন অনুগামী হিসেবেই পরিচিত। সবটাই যেন পুনঃসম্প্রচার। স্কুটি করে ঘোরা। মন্দির, মসজিদ, গির্জায় প্রার্থনা। কোথাও কোনওকিছু এতটুকু আলাদা নয়।তাঁর জন্ম যদিও কলকাতায় হয়েছে, তিনি কিন্তু মহিষাদল রাজপরিবারের মেয়ে, মনে করিয়েছেন জুন।
তাঁর কথায়, ‘‘মেদিনীপুরের সঙ্গে আমার টান আছে, সেটা আপনারা সকলেই জানেন।’’ এ-ও মনে করিয়েছেন, ‘‘আমিও দলের সৈনিক। আপনাদেরই মতোই।’’ গতবার এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিল বিজেপি, সে কথা মনে করিয়ে জুন বলেছেন, ‘‘২০১৯ এ যা হয়েছে, ২০২৪ এ সেই ছবি আমরা বদলে দেবো। ২০২৪ এ আমরাই জিতব।’’ হাতে আর বেশি দিন নেই, মনে করিয়ে মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী বলেছেন, ‘‘বেশি দিন হয়তো সময় পাব না আর। প্রথম দফায় হয়তো হবে এখানের ভোট। তাই প্রতিটি মিনিট, প্রতিটি সেকেন্ড গুরুত্বপূর্ণ।’’