—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা ভোটে রানাঘাট এবার তৃণমূলের কাছে অন্য চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ, হারানো জমি পুনরুউদ্ধারের। সদ্য বিজেপি থেকে বিধায়ক ভাঙিয়ে আনার পর তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা প্রার্থী ঘোষণার পরেই প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন। দোলের আগে প্রথম পর্যায়ে প্রচারও শেষ। দোলের পরে দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রচারে যত বেশি সম্ভব এলাকায় একদিনে পৌঁছে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।
রানাঘাট এবার তৃণমূলের কাছে কঠিন লড়াই। বিজেপি বিধায়কের দল বদলানোয় উজ্জীবিত তৃণমূল শিবির। দলবদলু সেই বিধায়ক এবার তাদের প্রার্থীও। নির্বাচনী প্রচারে প্রথম পর্যায়ে তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল প্রার্থী পরিচিতি। অন্য দল থেকে আসা মুকুটমণি অধিকারীকে সংগঠনের সমস্ত স্তরে পরিচয় করানোটাই ছিল প্রধান চ্যালেঞ্জ। প্রথম পর্যায়ের সেই প্রচারে বিভিন্ন অঞ্চল এবং শহরে জনসংযোগের পাশাপাশি কর্মীদের মধ্যে প্রার্থীকে পরিচয় করানোর কাজও করেছে তারা। দোলের পর দ্বিতীয় দফার প্রচারে প্রার্থীর সঙ্গে সাধারণ মানুষের মতবিনিময়ের পাশাপাশি র্যালি এবং এলাকাভিত্তিক সভার উপরে জোর দেওয়া হবে।
এলাকার ভিত্তিক র্যালির মাধ্যমে এক একদিনে যত বেশি সম্ভব জায়গায় প্রার্থীকে নিয়ে পৌঁছে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি সভা থেকেও কেন্দ্র বিরোধী সুর আরও চড়া করবেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তৃণমূল ঘেঁষা মতুয়া সংগঠন প্রচার শুরু করেছে। তাদের প্রার্থীকে নিয়ে নিচুতলায় যত দ্রুত সম্ভব পৌঁছতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব। নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে জেলাস্তরে দলের কমিটি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি ব্লক, গ্রাম এবং বিধানসভা ভিত্তিক নির্বাচনী কমিটিও তৈরি হয়েছে। কোথাও কোথাও অঞ্চলভিত্তিক এ ধরনের কমিটি তৈরির কাজও শেষ। এবার পুরোদমে প্রার্থীকে নিয়ে ময়দানে ঝাঁপাতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপির প্রার্থী জগন্নাথ সরকার গতবার বিপুল ভোটে জিতেছিলেন। তাই এবারের লড়াই যে সহজ নয় তা জানে শাসক দল। লোকসভা ও বিধানসভার ফলে রানাঘাটে অনেকটাই পিছিয়ে শাসক দল। সেই ঘাটতি মিটিয়েই তাদের এগোনোর লড়াই।
তৃণমূলের রানাঘাট সংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "দোলের পর আমাদের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রচার শুরু হবে। প্রার্থীকে নিয়ে যত বেশি সম্ভব নিচুতলায় আমরা পৌঁছে যাব।"
বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সংসদ জগন্নাথ সরকার বলছেন, "মানুষ যে ওদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে তা তো স্পষ্ট। দলবদল করা প্রার্থীকে তৃণমূলের কর্মীরাই বা কতটা মেনে নেবেন! ওরা যাই-ই করুক কোনও লাভ হবে না।"