Lok Sabha Election 2024

ভোটের ডিউটির চিঠি পাবে সরকারি ‘কর্মী’ হাতিরাও

লোকসভা এবং বিধানসভার মতো বিপুল আয়োজনের ভোটে এর আগেও ‘ডিউটি’ করেছে সরকারি হাতিরা। এক সময়ে হাতিদের পিঠে ভোটকর্মী, ব্যালট বাক্স পৌঁছত দুর্গম এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪ ০৮:০৮
Share:

—প্রতীকী ছবি।

ভোটের ‘ডিউটি’র চিঠি আসতে চলেছে সরকারি পিলখানার কুনকি হাতিদেরও। এমনিতেই বন দফতরের পোষা হাতিদের প্রতিদিনের কাজ হল জঙ্গল লাগোয়া ঘাসজমিতে টহলদারি চালানো। তবে ভোটের কাজেও সরকারি ‘কর্মী’ এই হাতিদের ডাক আসবে, আগেভাগে পিলখানাগুলিকে জানিয়ে রাখল বন দফতর। ভোট গ্রহণের দিনের আগে জঙ্গল লাগোয়া ভোট কেন্দ্রের আশপাশে বন্য জন্তুরা চলে এলে, তাদের তাড়িয়ে জঙ্গলে ফেরত পাঠাতে নিয়ে যাওয়া হবে কুনকি হাতিদের।

Advertisement

লোকসভা এবং বিধানসভার মতো বিপুল আয়োজনের ভোটে এর আগেও ‘ডিউটি’ করেছে সরকারি হাতিরা। এক সময়ে হাতিদের পিঠে ভোটকর্মী, ব্যালট বাক্স পৌঁছত দুর্গম এলাকায়। সে সব কাজ এখন আর করতে হয় না। তবে ভোট কেন্দ্রের আশপাশে বুনো হাতি, চিতাবাঘ, গন্ডার, বাইসন চলে এলে, সেগুলিকে তাড়ানোর কাজ করতে হবে কুনকি হাতিদের। সরকারি কোষাগার থেকেই ‘বেতন’ পায় কুনকি হাতিরা। তাই সরকারের এই ভোটের কাজও হাতিরা করবে।

ভোটের কাজের জন্য সরকারি কর্মীদের বিশেষ ভাতা দেওয়া হয়। হাতিরাও কি সে সব পাবে? এক বনকর্মীর কথায়, “হাতিদের বেলায় অন্যথা হবে কেন?অতিরিক্ত কাজ করলে বিশেষ টিফিনের বন্দোবস্ত করা হবে এবং ভোটে ভাল কাজ করলে হাতিদের সার্ভিস বুকেও লেখা হবে, পদোন্নতিরও সুযোগ থাকবে।”

Advertisement

উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বনাঞ্চল লাগোয়া এলাকায় কুনকি হাতি-সহ বন দফতরের বিভিন্ন শাখাকে সতর্ক করে রাখা হয়েছে। যেমন ভোট এগিয়ে আসবে, সংশ্লিষ্ট বিভাগকে তেমনই কী করণীয়, নির্দেশ পাঠাবে বন দফতর।

রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) দেবল রায় বলেন, “উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিকে সুরক্ষিত করা হবে। সে কাজে কুনকি-সহ যা প্রয়োজন, সবই ব্যবহার করা হবে। যেখানে ভোট এগিয়ে আসবে,সেখানে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা পাঠানো হবে।”

প্রথম দফাতেই উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে ভোট রয়েছে। পরের দফায় দার্জিলিঙে ভোট। সেখানেও জঙ্গল লাগোয়া বুথ রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতেও একই ভাবে জঙ্গলপথে সুরক্ষা এবং ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে বন দফতরকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement