গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। —ফাইল ছবি।
দার্জিলিং লোকসভা আসনকে ঘিরে নতুন চমক। দলের প্রার্থী কে বা কাকে দল সমর্থন করছে, এই সংক্রান্ত ঘোষণা না করলেও, আগামী ১ এপ্রিল নেতা-কর্মীদের দার্জিলিঙে জেলা নির্বাচনী দফতরে মনোনয়ন জমা উপলক্ষে হাজির হতে নির্দেশ দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। শুক্রবার দুপুরে দার্জিলিঙের তাকভর-মালিধুরা এলাকার মাঠে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে গোর্খা জাতির স্বপ্ন, আবেগকে বাঁচানোর জন্য লড়াইয়ের ডাক দেন গুরুং। তার পরেই নেতা-কর্মীদের গাড়ি ভরে গিয়ে মনোনয়নের জন্য জমায়েতের নির্দেশ দেন। যা নিয়ে পাহাড়ের রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। কারণ, বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা এখনও মনোনয়ন জমা দেননি।
এ দিন দিল্লি যাওয়ার পথে বিস্তা বলেন, ‘‘গুরুংয়ের জন্যই রাজনীতিতে এসেছিলাম। আজকে আমি যা, তার পুরো কৃতিত্ব বিমল গুরুংয়ের। উনি কী করবেন, ওঁর বিষয়।’’ ২০১৯-এ লোকসভা ভোটে জয়ের ক্ষেত্রে বিস্তা গুরুংয়ের সম্পূর্ণ সাহায্য পেয়েছিলেন।
পাহাড়ের নেতাদের একাংশ বলছেন, ‘‘গুরুং নিজে প্রার্থী হলে, আগাম ঘোষণা করতেন। উনি দলের কাউকে দাঁড় করাতে পারেন। আবার জমায়েত করে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় কাউকে সমর্থন করতে পারেন।’’ গুরুংয়ের দাবি, ‘‘পাহাড়ের পরিস্থিতি বদলেছে। গোর্খাদের স্বাভিমান বাঁচানোর লড়াই করতে হচ্ছে। আলাদা রাজ্য থেকে বিভিন্ন দাবি নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রকে আলোচনার টেবিলে একমাত্র আমরাই বসতে বাধ্য করেছি। সে সূত্রে গোর্খাদের বাঁচানোর দায়িত্ব আমাদের।’’ তিনি জানান, দলের নেতা-কর্মীরা গ্রাম, শহর থেকে ১ এপ্রিল জেলা নির্বাচনী দফতরে জড়ো হবেন। বলেন, ‘‘আমরাও যাব। প্রার্থী ও মনোনয়ন— সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’
২০২১ সালে বিধানসভা এবং ২০২৩ সালে পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোটে লড়লেও, গুরুংয়ের দল
বিশেষ কোনও সাড়া ফেলতে পারেনি। গত এক মাস ধরে যুব মোর্চা এবং পৃথক রাজ্যের দাবিদার সাতটি দলের সংগঠন গুরুংকে প্রার্থী হতে বলে আসছে। তিনি কাউকে আশ্বাস দেননি। কিন্তু এ দিন রহস্য জিইয়ে রাখলেন।