—ফাইল চিত্র।
গরমে ভোট চলাকালীন চার জনের মৃত্যু হয়েছে কেরলে। তাঁদের মধ্যে তিন জন সাধারণ ভোটার এবং এক জন পোলিং এজেন্ট। জানা গিয়েছে, প্রতি ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ প্রবল গরমে অস্বস্তি।
কেরলে মোট ২০টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। সব আসনেই শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৭টা থেকে ভোট শুরু হয়েছে। কিন্তু গরমে ভোট দিতে বেরোতে সমস্যায় পড়েছেন অনেকে। সকাল সকাল যাঁরা ভোট সেরে ফেলেছেন, তাঁদের এই সমস্যা হয়নি। বেলা বাড়তেই গরম বেড়েছে, চড়া হয়েছে রোদ। এই পরিস্থিতিতে বয়স্ক ভোটারেরা অনেকেই ভোট দিতে বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মৃত্যু হয় চার জনের।
জানা গিয়েছে, কেরলের পালক্কাড়ে ৬৮ বছর বয়সি এক বৃদ্ধ ভোট দিতে গিয়েছিলেন। বুথ থেকে বেরিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই এলাকায় শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৯ শতাংশ।
কোঝিকোড়ের ১৬ নম্বর বুথের লেফ্ট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (এলডিএফ) পোলিং এজেন্ট ছিলেন ৬৬ বছরের আনিস আহমেদ। ভোট চলাকালীন বুথেই তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকেও মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কোঝিকোড়ে তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৬১ শতাংশ।
তৃতীয় ঘটনাটি ঘটে মালপ্পুরম জেলায়। সেখানেও ৬৩ বছর বয়সি এক ব্যক্তি ভোট দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি পেশায় মাদ্রাসা শিক্ষক ছিলেন। ওই এলাকায় শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬০ শতাংশ।
এ ছাড়াও ভোট দিতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭৬ বছর বয়সি এক বৃদ্ধের। তিনি আলপ্পুঝা জেলার বাসিন্দা। ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পড়ে যান তিনি। হাসপাতালে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ওই এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৬৮ শতাংশ।
উল্লেখ্য, কেরলের চেয়ে বাংলার তাপমাত্রা অনেক বেশি। চলছে তাপপ্রবাহ। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। তবে দার্জিলিং, বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জে গরম তুলনামূলক কম। সাত দফায় বাংলায় ভোট চলবে। সারা দেশে ভোটের ফলাফল জানা যাবে আগামী ৪ জুন।