বিজেপিতে যোগ দিলেন অরবিন্দর সিংহ লাভলি। —ফাইল চিত্র।
বিজেপিতে যোগ দিলেন দিল্লির প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি অরবিন্দর সিংহ লাভলি। কিছু দিন আগেই আম আদমি পার্টি (আপ)-র সঙ্গে জোটের বিরোধিতা করে দিল্লির সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই জল্পনা ছড়ায় যে, তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। জল্পনাকে সত্যি করে শনিবার বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিলেন লাভলি।
শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে এবং দিল্লির বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন লাভলি। শনিবার লাভলির সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দেন প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক রাজকুমার চহ্বাণ, নসিব সিংহ এবং নীরজ বাসোয়া। একই সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন দিল্লির প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি অমিত মল্লিকও।
২০০৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দিল্লিতে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী ছিলেন লভলি। ২০১৩-১৫ দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদেও ছিলেন। ২০১৭-য় কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পাঁচ বারের এই বিধায়ক। কিন্তু বছর দেড়েকের মাথাতেই আবার রাহুলের উপস্থিতিতে ‘হাত’ শিবিরে ফিরে আসেন।
এপ্রিলের শেষেই কংগ্রেস ও আপের জোট এবং কংগ্রেসের তরফে কানহাইয়া কুমারের মতো ‘দিল্লিতে অপরিচিত’-দের প্রার্থী করা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে লাভলি কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে চিঠি দেন। তার পরেই দিল্লির কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন।
আগামী ২৫ মে দিল্লির সাতটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ। আপ এবং কংগ্রেস এ বার জোট করে লড়ছে। আপ লড়ছে চারটি আসনে, কংগ্রেস তিনটিতে। আপের সঙ্গে জোট নিয়ে দিল্লির প্রবীণ কংগ্রেস নেতাদের অনেকেরই আপত্তি ছিল। বিশেষত লাভলির মতো যে সব নেতা শীলা দীক্ষিত সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। কারণ অরবিন্দ কেজরীওয়ালের নেতৃত্বে আপের উত্থানে তাঁদেরই পায়ের তলার জমি সরে গিয়েছিল। উল্টো দিকে কংগ্রেসের তরুণ নেতারা ইন্ডিয়া জোটের শরিক আপের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে বিজেপিকে ঠেকাতে চাইছিলেন। কারণ এখন দিল্লির সাতটি লোকসভা কেন্দ্রই বিজেপির দখলে। লাভলির পদত্যাগের পরেই কংগ্রেসের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে।