বাঁ দিক থেকে পদ্মজা বেণুগোপাল, কে মুরলীধরন। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে আবার ধাক্কা খেল কংগ্রেস। কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে করুণাকরণের মেয়ে পদ্মজা বেণুগোপাল যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে। বৃহস্পতিবার সেই ঘোষণা করলেন তিনি। পদ্মজার দাদা কংগ্রেসের সাংসদ কে মুরলীধরন জানিয়েছেন, এর পর আর বোনের সঙ্গে সম্পর্ক নেই তাঁর। বিজেপির তাঁকে নিয়ে কোনও লাভ হবে না বলেও জানিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর ছেলের।
বিজেপিতে যোগদানের প্রসঙ্গে পদ্মজা বলেন, ‘‘কংগ্রেস নেতৃত্ব দলে যে পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, তার জন্য আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।’’ ২০২১ সালের কেরল বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিশূর কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন পদ্মজা। ভোটে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। এর জন্য এখন নিজের প্রাক্তন দলকেই দায়ী করলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ওই নির্বাচনে আমায় হারিয়েছিল কংগ্রেসই। কারা এ সব করেছিলেন, তা-ও জানি। দলীয় নেতৃত্বকে অভিযোগ করেছিলাম। কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।’’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন, কোনও শর্ত ছাড়াই বিজেপিতে যোগদান করছেন তিনি। রাজ্যসভার প্রার্থী বা লোকসভা টিকিট চেয়েছিলেন বলে যে জল্পনা শোনা গিয়েছিল, তা-ও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
পদ্মজার এই ঘোষণায় বেশ বিস্মিত হয়েছে কংগ্রেস। কারণ, তিন দিন আগেই ত্রিশূরে দলের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন পদ্মজা। তিনি কেরলের প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক। বুধবারও নিজের সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে দলের হয়ে পোস্ট করেছেন। এক দিনের মাথায় কী ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিলেন, সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তাঁর দাদা, তথা কংগ্রেস সাংসদ মুরলীধরন জানিয়ে দেন, বোনের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক নেই তাঁর। কংগ্রেস তাঁকে কোণঠাসা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন পদ্মজা। এই প্রসঙ্গে মুরলীধরন বলেন, ‘‘যিনি বাড়িতে বসেই কাজ করেন, তাঁকে আর কত উঁচু পদ দেবে দল?’’
তার পরেই মুরলীধরন বলেন, ‘‘পদ্মজাকে দলে নিয়ে বিজেপির কোনও লাভ নেই। আমাদের লড়াইয়েও তার প্রভাব পড়বে না। বিজেপিকে রাজ্যের সব আসনে তৃতীয় স্থানে নামিয়ে আনবই। যেখানে ওঁরা আশা করছে জিতবে, সেখানেও।’’ তিনি এও জানান, পদ্মজার এই ‘বিশ্বাসঘাতকতা’-র ছাপ ইভিএমে পড়বে। প্রসঙ্গত, অতীতে দল ছেড়েছিলেন মুরলীধরন। সেই প্রসঙ্গে তিনি জানান, দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। তার পরেও বিজেপিতে যোগ দেননি।