ফারুক আবদুল্লা। —ফাইল ছবি।
এ বার লোকসভা ভোটে কেন্দ্রের সরকার পাল্টে যাবে বলে মনে করেন প্রবীণ এনসিপি নেতা ফারুক আবদুল্লা। তাঁর মতে, বিরোধীরা কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরেও যদি জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি আনতে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার পথে হাঁটাতে উদ্যোগী না হয়, তা হলে ভোটে বিরোধী জোটের ভাল ফল করার কোনও মানেই থাকবে না। একই সঙ্গে বিজেপি দেশের সংবিধান বদলে দিতে চায় বলেও অভিযোগ করেছেন ফারুক। তাঁর বক্তব্য, “ওরা এমনটা করবে না বলছে বটে, কিন্তু যেটা বলে থাকে তার উল্টোটাই করে সব সময়।”
কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার দাবি ঘিরে আগেও সমালোচনার মুখে পড়েছেন ফারুক। দেশে শেষ দফার ভোট গ্রহণের আগের দিন, ফের এ ব্যাপারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আজ বলেন, “আমি যখন আলোচনার (ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে) কথা বলি, আমাকে পাকিস্তানি, খলিস্তানি, আমেরিকার এজেন্ট বলে ওরা। কিন্তু আমি মুখ বুজে থাকব না। প্রার্থনা করি, (লোকসভা ভোটে) ভাল ফল করে দিল্লিতে নতুন সরকার আসুক। এখনকার বিধানগুলো সব ছুঁড়ে ফেলা হবে। তার পরে আমরাও ওদের বলার চেষ্টা করতে পারব যে, আলোচনাই একমাত্র পথ। আর যদি সেটা না করা হয়, তা হলে ভাল ফল স্রেফ নষ্ট হবে।” তাঁর মতে, যুদ্ধ যে কোনও পন্থা হতে পারে না, ভারত আর পাকিস্তান সেটা যত ক্ষণ না বুঝছে, তত ক্ষণ জম্মু-কাশ্মীরে বিবাদ মেটানো যাবে না।
সোপিয়ান এবং অনন্তনাগে সাম্প্রতিক জঙ্গিহানায় আন্তর্জাতিক কোনও সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর কথা বলেছেন ফারুক। তাঁর কথায়, “আগেও বলেছি, সন্ত্রাস না থামা পর্যন্ত পড়শি দেশের (পাকিস্তান) সঙ্গে কোনও কথা হবে না। ওদের সহযোগিতা আমাদের দরকার। এখানে এসে নিরীহ লোককে খুন করছে যে, তাকে শনাক্ত করা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করা জরুরি। আন্তর্জাতিক তদন্তকারী সংস্থাগুলির অবশ্যই এ ব্যাপারে তদন্ত করা দরকার।”
জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও আশাবাদী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক। তিনি বলেছেন, “এখানে লোকসভা ভোট যদি শান্তিতে করানো যায়, বিধানসভা ভোট কেন করানো হবে না? আমার মনে হয়, এ বছরের অমরনাথ যাত্রা শেষ হলে বিধানসভা ভোট হবে।” ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চে তাঁরা কুর্সি দখল করতে নয়, কুর্সিকে কাজে লাগিয়ে দেশের সমস্যা দূর করতে চান বলেও দাবি করেন ফারুক।