দেবাশিস ধর। —ফাইল চিত্র
লোকসভার প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক দেবাশিস ধর। সোমবার দেবাশিসের তরফে তাঁর আইনজীবী নিধেশ গুপ্ত শীর্ষ আদালতে জরুরি শুনানির আর্জি জানান। তবে মামলাটি শুনতে রাজি হলেও সোমবারই সেটি শুনানির জন্য নথিভুক্ত করা হবে কি না, তা বিবেচনা করে দেখবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ।
গত মঙ্গলবার বীরভূম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন দেবাশিস। কিন্তু শুক্রবার তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। দলীয় সূত্রে খবর, ‘নো ডিউজ়’ শংসাপত্র না থাকার জন্যই দেবাশিসের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। সোমবার বীরভূমে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তাই আদালতে সোমবারই শুনানির আর্জি জানান দেবাশিস। তাঁর আইনজীবী জরুরি শুনানির আর্জি জানালে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “আমি ইমেল (জরুরি শুনানির আর্জি সংক্রান্ত) দেখেছি।’’
এর আগে গত শুক্রবার মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের একক বেঞ্চে জরুরি শুনানির আবেদন করেছিলেন দেবাশিস। কিন্তু সেখানে শুনানি হয়নি। এর পরেই তিনি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেই বেঞ্চও দেবাশিসের আর্জি খারিজ করে দেয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এই মামলা গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত নয়। ইলেকশন পিটিশন ফাইল করতে হবে। ইলেকশন পিটিশন ফাইল করলে সোম বা মঙ্গলবার শুনানি করা যেতে পারে। কিন্তু আজই শুনানি সম্ভব নয়।’’
ঘটনাচক্রে, গত মঙ্গলবার বীরভূমের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দেবাশিসকে। সভা থেকে মমতা বলেছিলেন যে, তাঁর সরকার এখনও ‘ক্লিয়ারেন্স’ (ছাড়পত্র) দেয়নি প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক দেবাশিসকে।