বিজেপি মণ্ডল সভাপতি সরস্বতী সরকার। রবিবার। — নিজস্ব চিত্র।
কসবায় বিজেপির মহিলা মণ্ডল সভাপতির উপর হামলার ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। এঁদের এক জনের নাম গৌর হরি গায়েন। অন্য জনের নাম আসরাফ মোল্লা ওরফে ভুতো। দু’জনের বিরুদ্ধেই বিজেপির এই নেত্রীর উপর হামলার অভিযোগ করা হয়েছিল এফআইআরে। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জনকেই সোমবার আদালতে তোলা হবে।
কসবা বিধানসভা এলাকার আনন্দপুরে ভােটের প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত হন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সরস্বতী সরকার। শনিবার রাতে কয়েক জন বিজেপি কর্মীকে নিয়ে আরবান কমপ্লেক্সের কাছের পূর্বপাড়ায় দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর সমর্থনে পোস্টার লাগাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়েই তাঁদের উপর চড়াও হয় কয়েক জন দুষ্কৃতী। বিজেপির অভিযোগ, ওই ঘটনায় মণ্ডল সভাপতি-সহ তিন জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের আরও অভিযোগ ছিল যে, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আর সেই জন্যই প্রথমে এ ব্যাপারে আনন্দপুর থানায় অভিযোগ জানালেও সেই অভিযোগ নেওয়া হয়নি। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতি অনুপম বলেছিলেন, ‘‘দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের গড় হলেও এ বারের ভোটে সেই গড় নড়ে যাবে। আমাদের প্রার্থী এবং কর্মীরা ভোটপ্রচারে নেমে যে ভাবে সাড়া পাচ্ছেন, তাতে ভয় পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। সেই ভয় থেকেই আমাদের মণ্ডল সভাপতি ও কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।’’ ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা ১০ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষের নির্দেশেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন অনুপম।
পাল্টা তৃণমূলের তরফে সুশান্ত বলেছিলেন, ‘‘‘আমরা যত দূর জানি ঘটনাটি ঘটেছে রাত সাড়ে ১১টার পর। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী এত রাতে ভোটের প্রচারের কাজ করা যায় না। তা-ও আমি বলব, যা হয়েছে অন্যায় হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগাযোগ নেই। এই ঘটনায় যে বা যারা যুক্ত, আমরা তাদের শাস্তির দাবি করছি। দলমত নির্বিশেষে পুলিশ-প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। তবে বিজেপি যে ভাবে তৃণমূল নেতৃত্বকে ঘটনার জন্য দায়ী করছে, তার কোনও সত্যতা নেই।’’