অধীর চৌধুরী। — ফাইল চিত্র।
এ বার মুর্শিদাবাদের ডিআইজিকে অপসারণ করল নির্বাচন কমিশন। আইপিএস অফিসার শ্রী মুকেশকে ভোটের সঙ্গে যোগ নেই, পুলিশের এমন পদে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সত্বর সেই নির্দেশ কার্যকর করার কথাও বলা হয়েছে। মুকেশের বিরুদ্ধে বহরমপুরের বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, ‘তৃণমূলের হয়ে কাজ’ করছেন আইপিএস অফিসার। তার পরেই বদলি।
সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিককে চিঠি দিয়েছে কমিশন। তাতে জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদের ডিআইজি পদ থেকে শ্রী মুকেশকে সরিয়ে ভোটের সঙ্গে যোগ নেই, এমন পদে নিয়োগ করতে হবে। বিকেল ৫টার মধ্যে ওই পদের জন্য তিন জনের নাম বাছাই করে কমিশনকে পাঠাতে হবে রাজ্যের। তাঁদের মধ্যে থেকে এক জনকে মুর্শিদাবাদের নতুন ডিআইজি পদে নিয়োগ করবে কমিশন।
এর আগে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে রাজীব কুমারকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। রাজ্যের কাছে তিনটি নাম চাওয়া হয়েছিল। সেই মতো তিন জনের নাম পাঠায় রাজ্য। বিবেক সহায়, সিনিয়র আইপিএস অফিসার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় এবং রাজেশ কুমারের নাম পাঠানো হয়েছিল কমিশনে। তাঁদের মধ্যে থেকে প্রথমে বিবেককে ডিজি পদে বসায় কমিশন। পরের দিন তাঁকে সরিয়ে ভোটের সময় রাজ্য পুলিশের ডিজি করা হয় সঞ্জয়কে।
লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যের চার জেলার জেলাশাসককেও সরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। এই জেলাগুলি হল পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম। ওই চার জেলার জেলাশাসকেরা কেউই আইএএস ক্যাডারের অফিসার নন। তাঁরা ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের স্বরাষ্ট্রসচিবকেও অপসারণের নির্দেশ দেয় কমিশন। সরানো হয় মিজোরাম, হিমাচল প্রদেশের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিপার্টমেন্টের সচিবকেও।