মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। — ফাইল চিত্র।
কেন্দ্র এবং রাজ্যের ২২টি সংস্থা দিনভর অভিযান চালিয়ে আট কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। শুক্রবার এমনই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি, নাকা চেকিংও চলছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে মোড়ে। এই সমস্ত জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে নগদ এবং অন্যান্য সামগ্রী।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্র এবং রাজ্যের ২২টি সংস্থা। এ ছাড়াও নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব দু’টি সংস্থাও একই কাজ করছে। প্রায় প্রতিদিনই বাজেয়াপ্ত হচ্ছে নগদ টাকা এবং অন্যান্য সামগ্রী। শুক্রবার কমিশন জানাল, দিনভর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আট কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, নগদ এবং অন্যান্য সামগ্রী মিলিয়ে এ মাসের ১ তারিখ থেকে সব মিলিয়ে মোট বাজেয়াপ্ত হয়েছে মোট ১৩৬ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, ১৯ এপ্রিল, রাজ্যে প্রথম দফার লোকসভা ভোটে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। সূত্রের খবর, প্রথম দফার তিন আসনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে প্রয়োজন অন্তত ৩৫০ কোম্পানি বাহিনীর। যা পাওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করছে কমিশন। কমিশনের একটি সূত্র বলছে, রাজ্যের প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার ভোটে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ, ওই দুই দফায় দেশ জুড়ে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। প্রথম দফায় ২১ রাজ্যের ১০২টি আসনে ভোট রয়েছে। তবে প্রথম দফার আগে রাজ্যে আরও কিছু বাহিনী আসার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১৭৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফার ভোটের আগে আরও কিছু কোম্পানি বাহিনী রাজ্যে আসবে।