রাজ্যের সব বুথেই হবে ওয়েব কাস্টিং। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোট অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের কাছে। ভোটে যাতে কোনও রকম অশান্তি না হয় তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে কমিশন। মঙ্গলবার কমিশন জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের সব বুথেই ওয়েব কাস্টিং হবে। ব্যবহার করা হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিও। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গকে যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা এই সিদ্ধান্ত থেকে স্পষ্ট।
লোকসভা হোক বা বিধানসভা, ভোটে স্বচ্ছতা আনতেই বুথে বুথে ওয়েব কাস্টিং শুরু করেছিল কমিশন। বুথে কী হচ্ছে, কারা কারা ভোট দিতে আসছেন, কোনও অশান্তি ঘটছে কি না— সেই সব কিছুর উপর নজরদারি চালাতে কমিশন এই ওয়েব কাস্টিং প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। মূলত অনলাইনেই এই নজরদারি চালানো হয়।
লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার সময়ই দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছিলেন, এ বারের ভোটে কোনও ধরনের অশান্তি বা গন্ডগোল বরদাস্ত করা হবে না। অশান্তি ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও বলেছিলেন তিনি। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, ওয়েব কাস্টিংয়ের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে তার আভাসও দিয়েছিলেন রাজীব।
সূত্রের খবর, স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করা, কোন কোন বুথে ওয়েব কাস্টিং করা হবে— এই সব ঠিক করতে সম্প্রতিই জেলাশাসক তথা জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের থেকে কমিশন তথ্য চেয়েছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই রিপোর্ট তৈরি করা হয়। শোনা যাচ্ছিল, রাজ্যের স্পর্শকাতর বুথগুলিতেই শুধুমাত্র ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। তবে মঙ্গলবার কমিশন জানিয়ে দিল, রাজ্যের ১০০ শতাংশ বুথেই ওয়েব কাস্টিং হবে।
২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও বুথে বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে বিধানসভায় মাত্র ৫০.৩১ শতাংশ বুথেই এই ব্যবস্থা ছিল। এ বার সেটাই বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করা হল। অর্থাৎ এ বার রাজ্যের ৮০ হাজার ৫৩০ বুথেই ওয়েব কাস্টিং হবে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, পঞ্জাবের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।