— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গত লোকসভা ভোটের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে কম ভোট পড়ছে, দেশের এমন ১১টি রাজ্যের ২৬৬টি লোকসভা কেন্দ্রকে চিহ্নিত করল নির্বাচন কমিশন। আজ সেই সব রাজ্যগুলির নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে ভোটের হার বাড়াতে স্থানীয় পর্যায়ে জনসচেতনতা অভিযান চালানোর উপরে জোর দেয় কমিশন। তবে ওই ১১টি রাজ্যের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ নেই বলে জানিয়েছে কমিশন।
২০১৯-র পরিসংখ্যান বলছে, যে ৫০টি গ্রামীণ কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি সবচেয়ে কম লক্ষ্য করা গিয়েছে, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ (২২) ও বিহার (১৮)।
কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত লোকসভা ভোটে প্রায় ২৯ কোটি মানুষ ভোট দেননি। ফলে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের জাতীয় গড় গিয়ে দাঁড়ায় ৬৭.৪০%য়। শহরগুলির মধ্যে সবথেকে কম ভোট পড়েছে হায়দরাবাদে, মাত্র ৪৪.৮%। পরবর্তী ধাপে রয়েছে মহারাষ্ট্রের কল্যাণ (৪৫.৩%)। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের ফুলপুর (৪৮.৭%), গোন্ডা (৫২.২%), বিহারের নওয়াদা (৪৯.৭%), আরা (৫১.৮%)-র মতো ছোট শহরেও ভোটের হার কমায় উদ্বিগ্ন কমিশন।
পরিস্থিতির উন্নতিতে আগামী দু’সপ্তাহে আরও বেশি করে সচেতনতা অভিযান বাড়ানোর উপরে জোর দিয়েছে কমিশন। আজকের বৈঠকে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন-এর কর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করা, স্থানীয় পর্যায়ে যাঁরা প্রমুখ ব্যক্তিত্বদের মাধ্যমে প্রচার চালানো, সংবাদপত্রে প্রচার, শহরের উল্লেখযোগ্য জায়গায় হোর্ডিং লাগানো, রেডিয়ো ও টিভির মাধ্যমে প্রচারে জোর দিয়েছে কমিশন। গরমের কথা মাথায় রেখে ভোটারদের রোদ্দুরের হাত থেকে বাঁচতে মাথার উপরে ছাউনির ব্যবস্থা করা, শহর এলাকায় পোলিং বুথের আশেপাশে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে বলেছে কমিশন। বিশেষ করে যাঁরা নতুন ভোটার, তাঁদের বুথমুখী করতে তরুণ কোনও আইকনকে দিয়ে প্রচার চালানো যায় কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে রাজ্যের আধিকারিকদের।