— প্রতীকী চিত্র।
তৃতীয় দফা ভোটের আগে মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। শনিবার কমিশন একটি বিবৃতিতে জানায়, মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানার ওসিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই পুলিশ আধিকারিককে নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়, এমন কোনও দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাঁর শূন্যপদ পূরণের জন্য বিকল্প নামও চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।
শুক্রবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার এবং কলকাতার আনন্দপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। পদ থেকে হঠিয়ে তাঁদের দু’জনকেও ভোটের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন কাজে পাঠানো হয়েছিল। শনিবার কার্যত একই ভাবে সরিয়ে দেওয়া হল রানিতলা থানার ওসিকেও। তাঁর ছেড়ে যাওয়া পদে নিয়োগের জন্য নামও চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিকল্প হিসাবে মোট তিনটি নাম দিতে হবে। তার মধ্যে থেকে এক জনকে বেছে নেওয়া হবে।
ওসিকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও ঠিক কী কারণে রানিতলার ওসিকে সরে যেতে হচ্ছে, তার কারণ জানায়নি কমিশন। বিজেপির দাবি, ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ ছিল। সেই কারণেই কি ওসিকে সরানো হল? তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। শুক্রবার যে দু’জন পুলিশ আধিকারিককে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন, তাঁদের ক্ষেত্রেও তাঁদের সরানোর কারণ জানায়নি কমিশন। সম্প্রতি বিজেপির তরফে ডায়মন্ড হারবারের ওসির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ তোলা হয়। তা ছাড়া ওই থানা এলাকায় কিছু দিন আগে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। তা নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন ওঠে। এ নিয়ে পদ্মশিবির কমিশনের দ্বারস্থ হয়। অন্য দিকে, সম্প্রতি কসবা বিধানসভা এলাকার আনন্দপুরে বিজেপির এক মহিলা মণ্ডল সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। একই সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলে পদ্মশিবির। এই ঘটনাগুলির সঙ্গে ওসি বদলের সম্পর্ক দেখছেন কেউ কেউ। তবে কমিশনের তরফ থেকে এ ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি।