Lok Sabha Election 2024 in West Bengal

নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ শুনবেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক, হোয়াট্‌সঅ্যাপ, ফোন নম্বর দিল কমিশন

প্রয়োজনে আগাম সময় নিয়ে বালিগঞ্জের ২০/১ গুরুসদয় দত্ত রোডের বিএসএফ দফতরে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা যাবে বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৩১
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আর ১১ দিন পরেই রাজ্যে শুরু হয়ে যাচ্ছে লোকসভার ভোটগ্রহণ পর্ব। তার আগে থেকেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট দেওয়ার পর্ব শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী এ কথা জানিয়েছেন। প্রথম দফার তিন লোকসভা আসনের ৮৫ বছরের বেশি বয়সি এবং দৃষ্টিহীন ভোটারদের বাড়িতে বসে ভোটদান পর্ব চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত।

Advertisement

সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে লোকসভা ভোটে রাজ্যর বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক, সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার অনিল শর্মাকে অভিযোগ জানানোর জন্য ল্যান্ডলাইন (০৩৩-২২৮০৫৭২২), হোয়াট্‌সঅ্যাপ (৭৪৩৯৮০৭৬১০) এবং মোবাইল নম্বর (৮৪২০৬১৪৬৭৮, ৭৪৩৯৮০৭৬১০) প্রকাশ করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে অনিলের ইমেল অ্যাড্রেসও। প্রয়োজনে আগাম সময় নিয়ে বালিগঞ্জের ২০/১ গুরুসদয় দত্ত রোডের বিএসএফ দফতরে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা যাবে বলেও জানিয়েছে কমিশন। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন অনিল। সেখানকার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

এরই পাশাপাশি সোমবার রাজনৈতিক দলগুলিকে ‘ডামি’ (নকল) ইভিএম ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে কমিশন। জানানো হয়েছে, দলের নেতা-কর্মীদের প্রশিক্ষণ বা ভোটারদের কোন বোতাম টিপে নিজেদের প্রার্থীদের ভোট দিতে হবে, তা বোঝানোর জন্য ওই ‘ডামি’ ইভিএম ব্যবহার করা যাবে। তবে তা আকার কোনও অবস্থাতেই আসল ইভিএমের সমান বা বড় হওয়া চলবে না।

Advertisement

কমিশনের তরফে সোমবার জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্য থেকে ২৮৫টি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৪১ রাউন্ড গুলি, ২৮ কিলোগ্রামের বেশি বিস্ফোরক এবং ৭৬২টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এ রাজ্য থেকে ১০ কোটি ৬৯ লক্ষ হিসাব-বহির্ভূত নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ওই সময় কালে উদ্ধার হয়েছে ৪৪ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার মদ এবং ২৪ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার মাদক, ৩২ কোটি টাকার হিসাব বহির্ভূত মূল্যবান ধাতু, ৪০ কোটি ১৬ লক্ষ টাকার উপহার সামগ্রী।

লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সময়ই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, অবাধ, স্বচ্ছ ভোট করানোর ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হল চার ‘এম’— মাসল (পেশি), মানি (অর্থ), মিসইনফরমেশন (ভুয়ো তথ্য), এমসিসি (নির্বাচনী আচরণবিধি) লঙ্ঘন। সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় প্রথম দিন থেকেই সক্রিয় পদক্ষেপ করছে কমিশন। বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে নগদ, মাদক, উপঢৌকন, দামি ধাতু। তাদের হয়ে এই কাজটি করে থাকে ইডি, আয়কর দফতর, রাজ্য পুলিশ, সিবিআই-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বাহিনী, তদন্তকারী সংস্থা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement