নির্বাচন কমিশন। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যের যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পদে অর্ণব চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। আগে ওই পদে ছিলেন রাহুল নাথ। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছিল। সে কারণে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন।
নতুন নিয়োগের কথা জানিয়ে সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাতে জানানো হয়েছে, রাজ্যের যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পদে অর্ণবকে নিয়োগ করা হয়েছে। অর্ণব ২০০০ ব্যাচের ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক। স্কুল শিক্ষা দফতরের যুগ্মসচিব পদে ছিলেন তিনি। এ বার লোকসভা ভোটের আগে সামলাবেন নতুন দায়িত্ব।
এপ্রিলের শুরুতে রাহুলকে সরানো হয়। তাঁর পাশাপাশি অপসারিত হন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অমিত রায়চৌধুরী। কমিশন সূত্রে খবর, ওই দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। দু’জনেই ডব্লিউবিসিএস অফিসার। নির্বাচন প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ভাবে চালাতে তাঁদের সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই দুই অফিসারের জায়গায় নবান্নের কাছে নতুন নাম চায় কমিশন। তার পরেই , রাজ্যের যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পদে সোমবার নতুন নিয়োগ।
এর আগে পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম— এই চার জেলার জেলাশাসককে সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। সূত্রের খবর, ওই চার জেলার জেলাশাসকেরা কেউই আইএএস ক্যাডারের অফিসার নন। তাঁরা ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক। প্রসঙ্গত, জেলায় ভোট-পরিচালন ব্যবস্থার শীর্ষে থাকেন জেলাশাসক। অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করানোর দায়িত্ব থাকে মূলত তাঁর উপরে। ভোট-পর্বে যে সব অভিযোগ ওঠে, সেগুলির তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হয় তাঁকে। জেলায় তিনি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসাবে (রিটার্নিং অফিসার) কাজ করেন। রাজ্য নির্বাচন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ও কমিশনের নির্দেশ কার্যকর করানোর দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। শাসক ও বিরোধী— উভয় পক্ষই যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সমান গুরুত্ব পায়, তা নিশ্চিত করতে হয় জেলাশাসককে।