—ফাইল চিত্র।
ভোটঘোষণার পর আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়া ইস্তক রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সরানো হয়েছিল চার জেলাশাসককেও। এ বার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের দুই অফিসারকেই সরিয়ে দেওয়া হল। যাঁদের সরানো হল, তাঁরা হলেন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অমিত রায়চৌধুরী এবং যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাহুল নাথ।
কমিশন সূত্রে খবর, ওই দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। দু’জনেই ডব্লুবিসিএস অফিসার। নির্বাচন প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ রাখতেই তাঁদের সরানো হয়েছে। ওই দুই অফিসারের জায়গায় নবান্নের কাছে নতুন নাম চেয়েছে কমিশন।
এর আগে পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম— এই চার জেলার জেলাশাসককে সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। সূত্রের খবর, ওই চার জেলার জেলাশাসকেরা কেউই আইএএস ক্যাডারের অফিসার নন। তাঁরা ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক। প্রসঙ্গত, জেলায় ভোট-পরিচালন ব্যবস্থার শীর্ষে থাকেন জেলাশাসক। অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করানোর দায়িত্ব থাকে মূলত তাঁর উপরেই। ভোট-পর্বে যে সব অভিযোগ ওঠে, সেগুলির তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হয় তাঁকে। জেলায় তিনি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে (রিটার্নিং অফিসার) কাজ করেন। রাজ্য নির্বাচন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ও কমিশনের নির্দেশ কার্যকর করানোর গুরুদায়িত্ব পালন করতে হয় তাঁকেই। শাসক ও বিরোধী— উভয় পক্ষই যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সমান গুরুত্ব পায়, তা নিশ্চিত করতে হয় জেলাশাসককে।