—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে লোকসভা ভোটের প্রথম দু’ দফায় ‘সংবেদনশীল’ এলাকা বেছে নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, তৃতীয় দফার ভোটে সেই পরিকল্পনা বদলাচ্ছে। কোনও এলাকার বদলে পুরো জেলাকেই ‘সংবেদনশীল’ হিসেবে চিহ্নিত করতে চাইছেন কমিশন-কর্তারা। সোমবার দিল্লির নির্বাচন সদনে যে বৈঠক হয়েছে তাতে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ৭ মে তৃতীয় দফার ভোটে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ, দুই জেলার উপরেই সামগ্রিক ভাবে নজর রাখা হবে। আসন্ন দফায় মোট ৪০৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট করানোর পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনে। তার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩৮২ কোম্পানি বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।
এ দিনের বৈঠকে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যে নিযুক্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকও ছিলেন বৈঠকে। সূত্রের দাবি, বৈঠকে উপ নির্বাচন কমিশনারেরা জানিয়েছেন যে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ জেলা তাঁদের বিশেষ নজরে আছে। ভোটের প্রস্তুতি, জামিনঅযোগ্য পরোয়ানা কার্যকর, দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের কাজ কেমন এগিয়েছে তাও জানতেচাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের অতীত ভোট-পরিস্থিতি মোটেই স্বস্তিদায়ক ছিল না। সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই এ বার প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলে দাবি করছেন প্রশাসনের একাংশ। লোকসভার পাশাপাশি ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন আছে। সেই প্রস্তুতিও নিতে হচ্ছে।
সূত্রের খবর, তৃতীয় দফার পাশাপাশি চতুর্থ দফার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে কমিশন। সূত্রের দাবি, আগামী ১৩ মে রাজ্যের আটটি আসনের ১৫ হাজার ৫০৭ টি বুথের মধ্যে ৩৬৪৭ টিই ঝুঁকিপূর্ণ (ক্রিটিকাল) হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। প্রাথমিক সেই তালিকা অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি তেমন বুথ রয়েছে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে, ৬৫৯টি। সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ বুথরয়েছে পূর্ব বর্ধমানে, ৩০১ টি। প্রসঙ্গত, কোনও এলাকায় অতীতে ভোটের হিংসা সংক্রান্ত তথ্য, দুষ্কৃতীদের খতিয়ান, কোনও একটি বুথে ৯০%-এর বেশি ভোট পড়লে এবং এক জন প্রার্থী ৭০%-এর বেশি ভোট পেলে অথবা কোনও একটি বুথে ১০%-এর কম ভোট পড়লে তা ঝুঁকিপূর্ণ বলে ধরা হয়। গত পঞ্চায়েত ভোটে যা হয়েছে সেগুলিও এ বার কমিশন বিবেচনা করেছে বলে খবর।