জাতীয় নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।
ভোটঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দলের অননুমোদিত পোস্টার, ব্যানার। যা নির্বাচনী আচরণ বিধির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ বিষয়ে রাজ্যগুলির কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সরকারি বিজ্ঞাপনের যাবতীয় পোস্টার এবং ব্যানার সরিয়ে ফেলার জন্য রাজ্যগুলিকে সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে প্রচারমূলক পোস্টারগুলি সরিয়ে ফেলতে হবে বলে জানিয়েছে তারা।
বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন জানিয়েছে, গত ১৬ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দিন থেকেই কার্যকর হয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। সেই বিধি অনুযায়ী, কোথাও কোনও সরকারি বিজ্ঞাপন থাকতে পারে না। অভিযোগ, পোস্টার, ব্যানার বা দেওয়াল লিখনের আকারে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভোটঘোষণা হওয়ার চার দিন পরেও থেকে গিয়েছে সরকারি বিজ্ঞাপন। তা নিয়ে কমিশনের কাছে আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগও জমা পড়ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, বিমানবন্দর, জাতীয় সড়ক থেকে অবিলম্বে এই ধরনের অননুমোদিত সমস্ত পোস্টার, ব্যানার বা দেওয়াল লিখন সরিয়ে ফেলতে হবে। এর জন্য আর অতিরিক্ত সময় দেওয়া যাবে না। পোস্টারগুলি সরিয়ে ফেলা হয়েছে— বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে এই মর্মে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন।
দেশের সব রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে এই নির্দেশ পাঠিয়েছে কমিশন। তাদের কাছ থেকে বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে নির্বাচন শুরু দেশে। তা চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ৪ জুন ভোটগণনা হবে। দেশে মোট সাতটি দফায় লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পশ্চিমবঙ্গে প্রতি দফাতেই ভোট রয়েছে।