— ফাইল চিত্র।
প্রথম দফায় নিরাপত্তা দিয়েছিল ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তৃতীয় দফাতেই তা বৃদ্ধি পেয়ে হতে চলেছে প্রায় চারশো কোম্পানি। চতুর্থ দফায় তা প্রায় ছ’শো ছুঁইছুই হতে চলেছে। এমনই খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে। আগামী ৭ মে তৃতীয় দফায় মালদহ-উত্তর, মালদহ-দক্ষিণ, জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদ আসনে ভোট। সেই ভোটে দু’টি জেলাকেই সংবেদনশীল ধরে নিয়ে পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ আগেই দিয়েছিলেন কমিশনের কর্তারা। সেই অনুযায়ী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলেছে কমিশন।
মুখ্য নির্বাচনী কার্যালয় (সিইও) সূত্রের খবর, প্রথম দুই দফার তুলনায় সংবেদনশীলতা তুলনায় কিছুটা বেশি তৃতীয় দফায়। ফলে প্রতিটি থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি যাতে থাকে, তা নিশ্চিত করতে চাইছে কমিশন। সেই কারণেই বৃদ্ধি বাহিনীর সংখ্যাতেও। কমিশন সূত্রে খবর, তৃতীয় দফা ভোটের জন্য জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় মোতায়েন করা হবে ৬৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (সিএপিএফ)। সেই সঙ্গে থাকবেন রাজ্য পুলিশের ২৬২৮ জন জওয়ানও। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলা জুড়ে ভোটের সময় ডিউটি করবে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, সঙ্গে রাজ্য পুলিশের ৭৬৭ জন কর্মী। মালদহে মোতায়েন হবে ১৪৪ কোম্পানি আধাসেনা, সঙ্গে ৫৪৮২ জন রাজ্য পুলিশকর্মী। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলায় মোতায়েন ১১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ৪৭২৪ জন রাজ্য পুলিশকর্মী। অর্থাৎ, তৃতীয় দফায় রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে মোট ৩৩৪ বাহিনী এবং ১৩ হাজারেরও বেশি রাজ্য পুলিশকর্মী।
চতুর্থ দফার ভোটে আরও বৃদ্ধি পাবে বাহিনীর সংখ্যা। চতুর্থ দফায় ভোট ১৩ মে। ভোট হবে বহরমপুর, বোলপুর, বীরভূম, কৃষ্ণনগর, আসানসোল, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর এবং রানাঘাটে। চতুর্থ দফায় রাজ্যে ৫৭৮ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করবে নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে আসানসোলে ৮৮ কোম্পানি, বীরভূমে ১৩০ কোম্পানি, কৃষ্ণনগরে ৮১ কোম্পানি, মুর্শিদাবাদে ৭৩ কোম্পানি, পূর্ব বর্ধমানে ১৫২ কোম্পানি এবং রানাঘাটে ৫৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে।
প্রথম দফায় কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে সব মিলিয়ে মোতায়েন হয়েছিল ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। দ্বিতীয় দফায় সেই সংখ্যা ৩৬ কোম্পানি বৃদ্ধি পেয়ে দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটে সম্মিলিত ভাবে মোতায়েন হয় ২৯৯ কোম্পানি। তৃতীয় দফায় তা হল ৩৩৪ কোম্পানি। চতুর্থ দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর পরিমাণ এক লাফে বৃদ্ধি পেয়ে হতে চলেছে ৫৭৮ কোম্পানি।