হেলমেট ছাড়া বাইক মিছিলে প্রার্থী পাঠান। — নিজস্ব চিত্র।
হেলমেট ছাড়া বাইক চালিয়ে প্রচার করার অভিযোগ বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান এবং তৃণমূলের বহরমপুর–মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে সেই নির্বাচনী প্রচারের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে (ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি)। ইউসুফের আইন ভাঙার প্রবণতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তৈরি হয়েছে, কটাক্ষ বিজেপির।
তৃণমূল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে কান্দির নতুন পাড়া থেকে বাইপাস মোড় পর্যন্ত বাইক নিয়ে র্যালি করেন ইউসুফ। ভারী মোটরবাইক চালিয়ে পাঠান যখন কান্দি শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন, সেই সময় তাঁর পিছনের আসনে বসেছিলেন অপূর্ব। তবে বাইক র্যালি করার সময় দু’জনের কারও মাথাতেই ছিল না হেলমেট, অভিযোগ এমনই। তার পরিবর্তে দু’জনেই পরেছিলেন সাধারণ টুপি। জেলা পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, মাথায় হেলমেট না পরে বাইক চালালে মোটর ভেহিকেলস আইনের ১৯৪ (ডি) ধারায় বাইক চালকের হাজার টাকা জরিমানা এবং বাইক আরোহীর পাঁচশো টাকা জরিমানা হতে পারে। এর পাশাপাশি বাইক চালানোর সময় চালকের কাছে যদি বৈধ লাইসেন্স না থাকে তা হলে অতিরিক্ত আরও তিন হাজার টাকা জরিমানা করা যায়। বাইকের অবস্থা এবং চালক কী পোশাক পরে চালাচ্ছিলেন তা দেখেও জরিমানা করা যায়। তবে সূত্রের খবর, তৃণমূল প্রার্থী বা জেলা সভাপতিকে জরিমানা দিতে হয়নি। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। বিজেপির মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘ইউসুফ পাঠান দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। দেশের আইন সম্পর্কে উনি যথেষ্ট অবগত। কিন্তু তৃণমূলে ঢুকলেই কেন জানি না, আইন ভাঙার একটা প্রবণতা তৈরি হয়ে যায়। ইউসুফের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে।’’
রাজনৈতিক নেতাদের হেলমেট ছাড়াই বাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়ানোর ছবি অবশ্য আকছার দেখা যায়। কোনও দলই এতে পিছিয়ে নেই। বছর দুয়েক আগে বহরমপুর শহরের ৩৪ নম্বর বাইপাস উদ্বোধনের আগে রাস্তার কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে হেলমেট ছাড়া স্রেফ টুপি পরে ওই রাস্তাতেই বাইক চালিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ অধীর চৌধুরী। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও একাধিক বার খালি মাথায় বাইক র্যালি করতে দেখা গিয়েছে।