—প্রতীকী ছবি।
প্রতিটা বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, প্রতিটা বুথের ভোটের সরাসরি সম্প্রচার (ওয়েবকাস্টিং)-এর পাশাপাশি আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় দ্রুত সাড়া দেওয়া কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি)-এরও নিয়ন্ত্রণ হাতে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
সূত্রের খবর, রাজ্যে নিযুক্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক উত্তরবঙ্গে থেকে প্রথম দফায় জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের ভোট প্রক্রিয়ায় নজরদারি চালাবেন। সেই দফার পরেই তিনি যাবেন দ্বিতীয় দফার ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে। সেই দফার ভোট শুরু হবে ২৬ এপ্রিল। সেই দফায় ভোট হবে দার্জিলিং, রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাটে।
কিউআরটি ভ্যানগুলিতে বসানো হচ্ছে জিপিএস। রাজ্যে কমিশনের কন্ট্রোলরুমগুলি থেকে ভ্যানগুলির গতিবিধি জরিপ করা যাবে। দরকার মতো ভ্যানগুলির সদ্ব্যবহার করা যাবে বলেও কমিশন সূত্রের খবর। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা বলেন, “গত বিধানসভা ভোটে কিউআরটি ভ্যানগুলির সঙ্গে যোগাযোগে কিছু সমস্যা হয়েছিল। আবার কয়েকটি ভ্যানে জিপিএস বসিয়ে সুবিধা হয়।”
সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ় আফতাবের সঙ্গে রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার আনন্দ কুমারের বৈঠক হয়। সিইও-র দফতরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “রাজ্যে ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। বুথ পিছু কম পক্ষে আধ সেকশন (চার-পাঁচ জন) বাহিনী আমরা মোতায়েন করছি। ওয়েবকাস্টিংও ১০০ শতাংশ বুথে হবে। যেখানে নেট সংযোগের সমস্যা মাইক্রো অবজার্ভার (দ্বিতীয় সারির পর্যবেক্ষক) রাখা হবে। বিভিন্ন বুথের বিপন্নতা বা ভালনারেবিলিটি বুঝে অন্তত ১০-১৫ শতাংশ বুথেই মাইক্রো অবজার্ভার থাকবেন।”
সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ে তিনটি কেন্দ্রে ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কোচবিহারে ১১২ কোম্পানি, জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে ৮৮ কোম্পানি, আলিপুরদুয়ারে ৬৩ কোম্পানি বাহিনী থাকবে। ১৪ কোম্পানি অন্য কেন্দ্রে ভোটারদের আস্থা বাড়াতে ঘুরবে। ১৯ এপ্রিল ভোটের পরে দু’কোম্পানি করে বাহিনী ভোটযন্ত্রের স্ট্রংরুম পাহারা দেবে এবং এলাকায় নির্বাচনোত্তর অশান্তির জন্য প্রস্তুত থাকবে। এর দু’-এক দিনেই সিকিম ও মেঘালয় থেকে মোট ২২ কোম্পানি বাড়তি বাহিনী ঢুকছে বঙ্গে। ২৬ এপ্রিল বালুরঘাট, রায়গঞ্জ, দার্জিলিংয়ের জন্য ২৭২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন হবে। তৃতীয় পর্যায়েও মালদহে তিন, মুর্শিদাবাদে তিন, জঙ্গিপুরে দুই ও কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে এক কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হবে প্রথম দফার ভোট শেষেই। অন্যত্রও ভোটারদের আস্থা বাড়াতে অন্তত এক কোম্পানি করে বাহিনী দ্রুত পাঠাতে চায় কমিশন।