প্রতীকী ছবি।
নির্বাচন কমিশনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ১ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গে আসছে আরও ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যে প্রথম দফায় ২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। কোন জেলায় কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে, প্রাথমিক ভাবে সেই তথ্যই জানাল কমিশন।
১ এপ্রিলের শুরুতে যে ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে তাদের মধ্যে রয়েছে, ১৫ কোম্পানি সিআরপিএফ (সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স), পাঁচ কোম্পানি বিএসএফ (সীমান্তরক্ষী বাহিনী) এবং সাত কোম্পানি সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স)। বুধবার কমিশন জানাল, কোচবিহার থাকবে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ছয় কোম্পানি বাহিনী থাকবে আলিপুরদুয়ারে। এ ছাড়াও জলপাইগুড়িতে সাত কোম্পানি বাহিনী মোতায়েনের কথা জানিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে দুই কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
ইতিমধ্যেই দু’দফায় মোট ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এ রাজ্যে এসে গিয়েছে। ১ মার্চ প্রথম দফায় ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। ৭ মার্চ দ্বিতীয় দফায় এসেছে আরও ৫০ কোম্পানি বাহিনী। ভোটের দিন ঘোষণার আগেই রাজ্যে পাঠানো হয়েছে তাদের। নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর আরও ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা জানিয়েছিল কমিশন।
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছে। তারা কাজও শুরু করে দিয়েছে। এলাকায় এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছে তারা। সাধারণ মানুষের মনোবল বৃদ্ধি করতেই আগে থেকে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে কমিশন। প্রশাসনের দাবি, ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল শুরু হয়েছে। জওয়ানদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে ভোটারদের সাহস জোগাতে দেখা যাচ্ছে পুলিশকেও।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর অবস্থান এবং গতিবিধি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে প্রতি দিন রিপোর্ট পাঠাতে হবে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে সিআরপিএফ। বুধবার তারা আরও জানায়, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ওই বাহিনীর অবস্থান এবং গতিবিধি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানাতে হবে। সকাল ১০টার মধ্যে বাহিনী সংক্রান্ত রিপোর্ট ইমেল মারফত পাঠাতে হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে।