সপ্তম দফা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ কমিশনের। — ফাইল চিত্র।
সপ্তম তথা শেষ দফার ভোটে ওয়েবকাস্টিংয়ের উপর আরও জোর দিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, আগামী শনিবার বুথে ওয়েবকাস্টিংয়ের ক্যামেরা বন্ধ থাকলে ভোটগ্রহণও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ভোটগ্রহণ পর্বে ক্যামেরা যে চলছে, তা নিশ্চিত করতে হবে প্রিসাইডিং অফিসারকে। এ নিয়ে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানিয়েছে কমিশন। কোনও কারণে ওয়েবকাস্টিং বন্ধ হলে তার উপযুক্ত জবাব দিতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারকে।
কমিশন সূত্রে খবর, ওয়েবকাস্টিং বন্ধ নিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের জবাব সন্তোষজনক না হলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এমনকি, এর নেপথ্যে গাফিলতি নজরে পড়লে প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু করতে বলা হয়েছে। কমিশন আরও জানিয়েছে, ১০০ শতাংশ বুথেই থাকবে ওয়েবকাস্টিং। তবে কিছু জায়গায় ওয়েবকাস্টিং সম্ভব নয়। কমিশনের ভাষায় একে বলে ‘শ্যাডো জোন’। ওই সব জায়গায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই বা খুব দুর্বল। সে কারণে ভাল ছবি আসে না।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা-সহ যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত নয়, নদী পার হয়ে বুথে পৌঁছতে হয়, সে সব বুথে ভোট কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের বৃহস্পতিবারই পাঠিয়ে দিয়েছে কমিশন। সঙ্গে লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়েছে।
সপ্তম দফায় রাজ্যে ৯ লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ রয়েছে। মোট ১৭ হাজার ৪৭০টি বুথে চলবে ভোটগ্রহণ। তার মধ্যে ৩,৭৪৮টি স্পর্শকাতর। কমিশন জানিয়েছে, সপ্তম দফায় ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে রাজ্যে। ৩৩ হাজার ২৯২ জন রাজ্য পুলিশ কর্মীও মোতায়েন থাকছেন। সপ্তম দফায় পুলিশ পর্যবেক্ষকের সংখ্যা পাঁচ। সাধারণ পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ১০। খরচ সংক্রান্ত পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ১১। ১৬ মার্চ থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কমিশনে ৪০ হাজার ৪৬২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ৩৫ হাজার ৯৮৬টি অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন।