রাজীব চন্দ্রশেখর। ছবি: পিটিআই।
কংগ্রেসের শশী তারুরের বিরুদ্ধে তিরুঅনন্তপুরমে বিজেপি প্রার্থী করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরকে। তাঁর হলফনামায় সম্পত্তির হিসেবে অসঙ্গতির অভিযোগ জানিয়েছিল কংগ্রেস। এ বার রাজীবের সম্পত্তি খতিয়ে দেখতে সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি)-কে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ, রাজীবের ঘোষিত সম্পত্তি ও প্রকৃত সম্পত্তির মধ্যে বিপুল অসঙ্গতি রয়েছে। কংগ্রেসের পাশাপাশি চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম-ও।
১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী মনোনয়ন পেশের সময়ে হলফনামায় অসঙ্গতি থাকলে প্রার্থিপদ বাতিলের পাশাপাশি ছ’মাস জেল কিংবা জরিমানা অথবা দুই-ই হতে পারে। হলফনামায় রাজীব দেখিয়েছেন, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তাঁর আয় মাত্র ৬৮০ টাকা। ২০২০ ও ’২৩ সালে রাজীবের আয় ছিল যথাক্রমে সাড়ে ১৭ লক্ষ ও সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা।
চন্দ্রশেখর জানান, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৮ কোটি টাকা। যার মধ্যে রয়েছে নগদ অর্থ, ব্যাঙ্কে গচ্ছিত টাকা, নন ব্যাঙ্কিং ফিনানশিয়াল কোম্পানি। একাধিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিষয়টিও দেখানো হয়েছে।
তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, পুরনো আমলের একটি মোটরবাইক ও অন্যান্য জিনিস। যার মোট মূল্য ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। এ ছাড়া স্থাবর সম্পত্তিতে রয়েছে বেঙ্গালুরুতে একটি অকৃষি জমি। যার মূল্য প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা। বিরোধীদের অভিযোগ, চন্দ্রশেখর তাঁর নির্মাণ ব্যবসার সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছেন। কেরলের শাসক জোট এলডিএফ-এর দাবি, ‘জুপিটার ক্যাপিটাল’ নামে একটি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে চন্দ্রশেখরের নাম থাকলেও সেটিও হলফনামায় এড়িয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। চন্দ্রশেখর অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানান, আইন মেনেই তথ্য জমা করেছেন।
২০১৮ সালে রাজ্যসভায় মনোনয়ন পেশের সময়ে অবশ্য চন্দ্রশেখর জানিয়েছিলেন, তাঁর বার্ষিক আয় ২৮ কোটি টাকা। পারিবারিক সম্পত্তি ৬৫ কোটি টাকা।