গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে আবার ১০ থেকে শূন্য হয়ে গেল মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)। আর উত্থান হল নতুন দলিত নেতা চন্দ্রশেখর আজাদের। অনুগামীদের কাছে যিনি ‘রাবণ’ নামেই পরিচিত।
মাত্র দু’বছর আগে বিধানসভা ভোটে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে গোরক্ষপুরে দাঁড়িয়ে জামানত হারানো রাবণ এ বার নাগিনা লোকসভা কেন্দ্রে একার জোরে লক্ষাধিক ভোটে জিততে চলেছেন। বিজেপি এবং সমাজবাদী পার্টি (এসপি) দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
রাবণের গড়া সামাজিক সংগঠন ভীম আর্মি গত এক দশক ধরে বিভিন্ন রাজ্যে দলিত ও অনগ্রসরদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে। উত্তর ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর। শাহিনবাগ সমাবেশে যোগ দিয়ে জেলেও গিয়েছিলেন। ২০২০ সালের মার্চ মাসে রাজনৈতিক দল ‘আজাদ সমাজ পার্টি’ গড়েছিলেন তিনি। গত বছর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে গোরক্ষপুর (শহর) কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে লড়ে হেরে গিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর।
গত কয়েক বছর ধরেই উত্তরপ্রদেশ রাজনীতিতে মায়াবতীর ‘সক্রিয়তা’ কমে গিয়েছিল। জল্পনা ছিল, বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিশানা এড়াতেই এ বার বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’য় যোগ দেননি তিনি। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে শূন্য হয়ে যাওয়া বিএসপি ২০১৯-এ অখিলেশের এসপির সঙ্গে জোট বেঁধে ১০টি আসনে জিতেছিল। এ বার আবার মায়াবতীর ঝুলি খালি হয়ে গিয়েছে। তবে ভোটের ফল বলছে প্রায় ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে তাঁর দল। দলিত ‘সাব কাস্ট’ জাটভদের বড় অংশ এখনও তাঁর প্রতি আস্থাশীল। আগামী দিনে মায়ার জাটভ ভোটব্যাঙ্ক ভাঙতে পারবেন রাবণ?