রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে রোড-শোয়ে অভিনেতা দেব। মঙ্গলবার। —নিজস্ব চিত্র।
চড়া রোদে মঙ্গলবার দুপুরে রায়গঞ্জ শহরে রোড-শো করলেন অভিনেতা ও বিদায়ী সাংসদ দেব। এ দিন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে রোড-শো করেন তিনি। বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডিতে বালুরঘাট আসনে বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে জনসভা করেন দেব।
রায়গঞ্জ শহরের কসবা থেকে আশা টকিজ় মোড় পর্যন্ত দেব রোড-শো করেন। সেখান থেকে গাড়িতে করে কর্ণজোড়া হয়ে হেলিপ্যাড যাওয়ার পথে রাস্তার দু’ধারে বাসিন্দাদের দিকে কখনও হাত নাড়েন, কখনও আবার তাঁদের নমস্কার জানান। রোড-শোয়ে দেব রাস্তার দু’ধারে ভিড় করে থাকা বাসিন্দাদের দেব বলেন, “আপনারা কৃষ্ণবাবুকে জেতান। দিল্লি থেকে বাংলার অধিকার ফেরাতে হবে।”
দেবকে দেখার জন্য গরমের মধ্যে এ দিন শহরের বহু মানুষ কসবা, দেবীনগর, বীরনগর, মহাত্মা গান্ধী রোড, মোহনবাটী, বিধাননগর, দেহশ্রী মোড়, সুপার মার্কেট ও শিলিগুড়ি মোড় এলাকার রাস্তার দু’ধারে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেন। কসবা মোড় থেকে কৃষ্ণকে সঙ্গে নিয়ে গাড়ির উপরে রোড-শো শুরু করেন দেব। রোড-শো চলাকালীন রাস্তার দু’ধারে বহু মানুষ দেবকে দেখে চিৎকার ও উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। দেব অনেকের হাত স্পর্শ করেন। অনেকে দেবের দিকে ফুল ও মালা ছুঁড়ে দেন। দেবও বাসিন্দাদের দিকে ফুল ও মালা ছুঁড়ে নমস্কার ও ভালবাসা জানান। গরমের জেরে ক্লান্ত হয়ে শহরের আশা টকিজ এলাকার একটি হোটেলে বিশ্রাম নেন দেব।
কুশমণ্ডি হাই স্কুলের মাঠে এ দিন বিকেলে বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে জনসভা করেন দেব। ভিড়ে চেয়ারে বসা নিয়ে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। কিছুক্ষণের জন্য সভায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তা সামাল দেয় পুলিশ। জনসভায় দেব বলেন, ‘‘ভোট যাকেই দিন না কেন, একটু ভাববেন। যারা মন্দির বানাবে তাকে? নাকি যারা হাসপাতাল বানাবে তাকে দেবেন? ধর্মের ভিত্তিতে ভোট দিলে মন্দির আর মসজিদ থাকবে। আর কিছু থাকবে না।’’