সাংবাদিক বৈঠকে মহম্মদ সেলিম এবং সুজন চক্রবর্তী। —সংগৃহীত।
প্রথম তিন দফা ভোট নিয়ে তাঁদের কোনও অভিযোগ নেই। চতুর্থ দফার ভোটে বাংলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ তুলে ভোটের দিনই সরব হয়েছিল সিপিএম তথা বামেরা। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে বাকি তিন দফা ভোটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবি জানালেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং দমদমের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। সেলিমেরা জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটে কোথায় ভোট লুট হয়েছিল, কোথায় গণনার সময়ে গন্ডগোল হয়েছিল, কোন কোন সরকারি আধিকারিকেরা তাতে যুক্ত ছিলেন, সেই সংক্রান্ত একটি মানচিত্রও সিপিএমের তরফে কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে।
সিইও-র সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সেলিম বলেন, ‘‘প্রথম তিন দফার ভোট নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। শান্তিতে ভোট হয়েছে। কোথাও কোথাও মানুষ ছ’বছর পর ভোট দিতে পেরেছেন। কিন্তু চতুর্থ দফায় নদিয়া, দুই বর্ধমান, বীরভূমের ভোটে বেশ কিছু অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। আমরা দাবি জানিয়েছি, বাকি তিন দফায় তার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়।’’
সেলিম নিজে মুর্শিদাবাদ লোকসভায় সিপিএমের প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন। সেই ভোট ছিল গত ৭ মে, তৃতীয় দফায়। অর্থাৎ, মুর্শিদাবাদের ভোট যে নির্বিঘ্নে হয়েছে, তা-ও পরোক্ষে মেনে নিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। পাশাপাশিই সেলিম দাবি করেছেন, সিইও তাঁদের সামনে মেনে নিয়েছেন যে, চতুর্থ দফায় বাহিনী পর্যাপ্ত ছিল না। বাইরের রাজ্য থেকে যত সংখ্যক বাহিনী আসার কথা ছিল, তা আসেনি। পাশাপাশিই পরবর্তী তিন দফার জন্য সিইও তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন বলে দাবি করেছেন সেলিম এবং সুজন। সিপিএমের অভিযোগ, দমদম, ডায়মন্ড হারবার, শ্রীরামপুর, হুগলি কেন্দ্রে তৃণমূল গন্ডগোল করার চেষ্টা চলছে। কোথাও কোথাও স্থানীয় সমাজবিরোধীরা পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করছে বলেও কমিশনে নালিশ ঠুকেছে সিপিএম।