(বাঁ দিকে) অধীর চৌধুরী। মহম্মদ সেলিম (ডান দিকে)। —গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ।
আর কোনও কথা, আলোচনার অবকাশ রইল না। রবিবার ব্রিগে়ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল ৪২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণার পর কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা অনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হয়ে গিয়েছে। তার পরেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে, তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার সিদ্ধান্তের পর কি বাংলায় বাম-কংগ্রেস জোটের রাস্তা প্রশস্ত হল?
প্রদেশ কংগ্রেস চায় বামেদের সঙ্গে জোট হোক। কিন্তু এ ব্যাপারে কংগ্রেস হাইকমান্ড এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। সোমবার জোটের ‘আশা’ নিয়েই দিল্লি যাচ্ছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সোমবার সিপিএমের এক দিনের পলিটব্যুরোর বৈঠক রয়েছে। কিন্তু সেই বৈঠক সেরে সোমেই কলকাতা ফিরছেন না সেলিম। সূত্রের খবর, সোমবার তিনি দিল্লিতে থাকতে চান। যাতে মঙ্গলবার দিনটি পাওয়া যায়। সিপিএম সূত্রে খবর, পলিটব্যুরোর বৈঠকের পর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বাংলার বিষয় নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলবেন। যদি কংগ্রেসের আসন সমঝোতা বিষয়ক কমিটির পাঁচ সদস্যের কাউকে পাওয়া যায়, তা হলে সিপিএম নেতৃত্ব দিল্লিতে মুখোমুখি কথা বলতে চান। সে কারণেই মঙ্গলবার দিল্লিতে থাকবেন সেলিম।
ইতিমধ্যেই সেলিম জানিয়েছেন, তাঁদের ৪২টি আসনে বামফ্রন্টগত ভাবে প্রার্থিতালিকা তৈরি। কংগ্রেস তাদের অবস্থান জানাক। অনন্তকাল অপেক্ষা করা যাবে না। সিপিএম সূত্রে খবর, আগামী বুধবার তাদের সাপ্তাহিক রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকের পর বামফ্রন্টের বৈঠক রয়েছে। তার পর এক দফা প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করা হবে কি না তা ঠিক হবে। যদিও কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে আলোচনা আকার পাওয়ার আগে এক তরফা প্রার্থিতালিকা ঘোষণায় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর সায় নেই বলে খবর। আবার সিপিএমের একটি অংশ চায়, যে সমস্ত আসনে কংগ্রেসের কোনও দাবি নেই, যেখানে কোনও দড়ি টানাটানি নেই, সেই সব আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেওয়া হোক। তবে কী হবে সবটাই নির্ভর করছে সেলিম দিল্লি থেকে কী নিয়ে কলকাতায় ফিরলেন তার উপর।