—প্রতীকী ছবি।
ভোটের ময়দানের অনেকটা জুড়েই এখন সমাজ মাধ্যম। সেই মাধ্যমেই এ বার উত্তাপ ছড়াল কে কার ‘বন্ধু’ সংক্রান্ত বিতর্ক!
বিজেপির সঙ্গে যৌথ প্রচারে নেমেছে সিপিএম, একটি ভিডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করে আক্রমণে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের তোপের মুখে পড়ে দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (আপ) ডাকা সমাবেশে তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির পাশাপাশি বসে থাকার ছবি দিয়ে বিজেপি পাল্টা দাবি করেছিল, ‘প্রকৃত বন্ধু’ ওই দুই দলই! তার পরে আসরে নেমে সিপিএম ধরিয়ে দিল, প্রচারে যে পতাকার (সিপিএম এবং ভিডিয়োর পতাকার কাস্তে-হাতুড়ি আলাদা) ছবি দেখা যাচ্ছে, তা আসলে সিপিআরএম (কমিউনিস্ট পার্টি অফ রেভল্যুশনারি মার্ক্সিস্ট্স)-এর। পাহাড়ে যারা বিজেপিকে সমর্থন করছে। এমন ‘অসত্য’ প্রচার সংক্রান্ত পোস্ট সরিয়ে না নিলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে বিধিভঙ্গের অভিযোগ করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে সিপিএমের তরফে।
তৃণমূলের এক্স হ্যান্ড্লে বুধবার একটি ভিডিয়ো ক্লিপ (যার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) পোস্ট করে বলা হয়েছিল, ‘গেরুয়া-লাল ভাই-ভাই! যেখানে গেরুয়া ও লালকে পৃথক করা যায় না, সেই বাংলায় সকলকে স্বাগত’! তার পরেই রাজ্য বিজেপি ও সিপিএমের এক্স হ্যান্ড্সের উল্লেখ করে সেখানে মন্তব্য করা হয়েছিল, ওই দুই দলের ‘অশুভ আঁতাঁত’ এখন পরিষ্কার। ‘সিপিএম সমর্থকদের দেখা যাচ্ছে বাংলা-বিরোধী বিজেপির সঙ্গে মিছিল করতে’। রাজ্যের সিপিএম নেতারা বিজেপির ‘জমিদার’দের কাছে নিজেদের সত্তাকে বিক্রি করে দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করা হয়েছিল ওই পোস্টে। বিজেপির তরফে এর পরে ডেরেক ও ইয়েচুরির ছবি সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করা হয়। তার পরে নিজেদের এক্স হ্যান্ড্ল মারফতই সিপিএম জানায়, তাদের সঙ্গে সিপিআরএম-এর কোনও সম্পর্কই নেই। গোর্খাল্যান্ডের দাবির প্রেক্ষিতে পাহাড়ে জিএনএলএফের সঙ্গে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের শান্তি সমঝোতায় ক্ষুব্ধ অংশ ১৯৯৬ সালে আলাদা দল সিপিআরএম হয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। এই ইতিহাস না জেনেই তৃণমূল ‘মিথ্যা প্রচারে’ নেমেছে বলে অভিযোগ সিপিএমের।
রাজ্যে বিজেপির ‘আসল বন্ধু’ কারা, তা বোঝাতে গিয়ে সিপিএম এ দিন ফের দাবি করেছে, তৃণমূলের সৌজন্যেই বাংলায় গেরুয়া পতাকার শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে। সিপিএম তাদের এই বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে তুলে ধরেছে ‘মিথ্যা, ডাহা মিথ্যা ও তৃণমূল’ নাম দিয়ে। ছবি সংক্রান্ত ওই পোস্ট না সরালে কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও বলেছে তারা।