—প্রতীকী ছবি।
যাদবপুর ও ডায়মন্ড হারবারের পরে এ বার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর আসনে প্রার্থী দিল সিপিএম। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু শনিবার মথুরাপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে শরৎ চন্দ্র হালদারের নাম ঘোষণা করেছেন। এর ফলে রাজ্যে বামেদের ঘোষিত প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৯। তবে কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, মথুরাপুর আসনে তারা লড়তে চায়। সেই বিষয়ে সিপিএমকে আগেই জানানো হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি। মথুরাপুরের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীর নামও দিল্লিতে এআইসিসি-র কাছে পাঠানো হয়েছে। সিপিএমের প্রার্থী ঘোষণার জেরে সমঝোতার মধ্যে জটিলতা বাড়ল বলে কংগ্রেস সূত্রের ইঙ্গিত। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জয়নগর কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম অবশ্য এখনও ঘোষণা হয়নি। রাজ্যে ৪২টি আসনের মধ্যে একমাত্র সেখানেই এখনও বাম বা কংগ্রেস, কেউই প্রার্থী দেয়নি। জয়নগরে সচরাচর লড়াই করে বাম শরিক দল আরএসপি।
কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, উলুবেড়িয়া, বনগাঁ ও কাঁথি লোকসভা আসনে প্রার্থীদের নাম শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে এআইসিসি-র তরফে। সেই সঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও কংগ্রেস প্রার্থী দেবে বলে ওই সূত্রের খবর। মথুরাপুর নিয়ে ক্ষোভের পাশাপাশি কংগ্রেসের একাংশের বক্তব্য, ব্যারাকপুর আসনেও সিপিএম ‘এক তরফা’ প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সিপিএম অবশ্য এমন অভিযোগ মানতে নারাজ। সিপিএমের পলিটব্যুরোর এক সদস্যের কথায়, ‘‘আমরা যা করেছি, এআইসিসি-কে জানিয়ে এবং কথা বলে করেছি। সব দাবি সব জায়গায় মানা সম্ভব হয় না। প্রয়োজনে আবার এআইসিসি-র সঙ্গে কথা বলা হবে।’’
সিপিএম সূত্রে আরও বলা হচ্ছে, আইএসএফ সরে যাওয়ার পরে কংগ্রেসের কেউ কেউ হয়তো মনে করেছেন, বাকি সব আসনই তাঁদের জন্য রাখা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টা তেমন নয়। তা ছাড়া, আসন ভাগ নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে আলোচনা না হওয়ায় দলের বিভিন্ন অংশের ক্ষোভের প্রতিফলনও এর মধ্যে পড়ছে বলে সিপিএম নেতৃত্বের ধারণা। এমনকি, বামফ্রন্ট প্রার্থী ঘোষণার পরেও কোচবিহারে যে ভাবে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে, তাতে সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের আশঙ্কা, মালদহ ও মুর্শিদাবাদে ভোট হয়ে যাওয়ার পরে শেষ দু’দফার আসনে আরও কিছু এমন ঘটনা ঘটতে পারে! তবে সমঝোতা ভেঙে বেরিয়ে আসার কথা কোনও ভাবেই ভাবছে না আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
এই পরিস্থিতিতে আজ, রবিবার রাতে কলকাতায় আসছেন এআইসিসি-র প্রতিনিধিরা। কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলের প্রার্থী ও প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে তাঁদের আলোচনায় বসার কথা কাল, সোমবার। এআইসিসি-র পর্যবেক্ষকদের কথা বলার কথা জেলা সভাপতি ও শাখা সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গেও। নির্বাচনী কৌশল ও আসন সমঝোতার বিষয়ে সেখানে কী উঠে আসে, সে দিকে এখন নজর রয়েছে কংগ্রেস শিবিরের।