—প্রতীকী চিত্র।
ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে চিকিৎসক শর্মিলা সরকারের নাম ঘোষণা করেছে শাসকদল তৃণমূল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ওই মঞ্চের র্যাম্পেও তাঁকে হাঁটতে দেখা গিয়েছে। আবার, নাম ঘোষণার পরের দিনই শর্মিলাকে প্রফেসর পদে উন্নীত করা হয়েছে। যদিও মঙ্গলবারও ইস্তফাপত্র জমা দেননি তিনি। লোকসভা ভোটের আবহে এই পুরো বিষয়টি নিয়েই এ বার বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে দিনকয়েক আগে চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই বিগ্রেডের মঞ্চে দেখা গিয়েছে পুলিশকর্তা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখানে সরকারি চাকরিতে থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে শর্মিলা মঞ্চে থাকলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। অনেকে অতীতের কথা মনে করিয়ে জানাচ্ছেন, ভোটে লড়াইয়ের জন্য কোনও চিকিৎসক ইস্তফা দিলেও, তা স্বাস্থ্য দফতর তৎক্ষণাৎ গ্রহণ না করায় আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার উদাহরণও রয়েছে। সেখানে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের মানসিক রোগ (সাইকায়াট্রি) বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর শর্মিলা কী ভাবে রাজনৈতিক মঞ্চে থাকলেন? সরকারি চাকরির নিয়মানুযায়ী, সেটি করা যায় না বলেও জানাচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র।
আবার, সোমবার স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, সাইকায়াট্রি বিভাগের প্রফেসর পদে রাজ্যের ছ’জন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরকে উন্নীত করা হল। সেই তালিকায় একেবারে প্রথমে নাম রয়েছে শর্মিলার। এখানেও প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। তাঁদের কথায়, ‘‘ভোটের প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা হওয়া চিকিৎসক, আজ না হয় কাল ইস্তফা দেবেন সেটাই স্বাভাবিক। সেটা জানা সত্ত্বেও কী ভাবে শর্মিলাকে পদোন্নতি দেওয়া হল? তা হলে কী স্বেচ্ছাবসরের পরে তাঁকে প্রফেসর পদের সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিতেই এমন করা হল?’’ আবার প্রদীপ বলছেন, ‘‘মাস তিন-চারেক আগে সমস্ত পদের (প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট ও সহকারী প্রফেসর) জন্য ইন্টারভিউ হয়েছে। কিন্তু এত দিন ধরে ফল বেরোয়নি। সেখানে আচমকাই শুধু একটি বিভাগের একটি মাত্র পদের পদোন্নতির তালিকা প্রকাশিত হল কেন?’’
স্বাস্থ্যকর্তাদের অবশ্য দাবি, শীঘ্রই বাকি পদেরও তালিকা প্রকাশিত হবে। আর শর্মিলা বলছেন, ‘‘মঞ্চে গেলেও বক্তব্য তো রাখিনি। আর আমি এখনও মনোনয়ন জমা দিইনি। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেই সব করছি।’’