নবান্ন। —ফাইল চিত্র।
নবান্ন, রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর। লোকসভা ভোট ঘিরে এ বার কন্ট্রোল রুম চালু হয়েছে সেখানেও। তার ফোন নম্বর জানানো হয়েছে সব জেলাকে। এ নিয়ে এক নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক বিভাগের কো-অর্ডিনেশন ব্রাঞ্চ। সম্প্রতি নির্দেশিকার বিষয়টি জানানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে, রাজ্য পুলিশের ডিজি-র দফতরে। পাশাপাশি, সমস্ত জেলার জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে। জঙ্গলমহলের একটি জেলার জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক মানছেন, ‘‘নবান্নের ওই কন্ট্রোল রুম সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জেলায় এসেছে।’’
দেশ জুড়ে লোকসভা ভোট আয়োজনের দায়িত্ব জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। অন্য রাজ্যের মতো এ রাজ্যেও কলকাতায় তাদের দফতরে ভোটের সময় কন্ট্রোল রুম চালু হয়েছে। পাশাপাশি এ বার নবান্নেও থাকছে কন্ট্রোল রুম। পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোট হবে সাত দফায়। ইতিমধ্যে প্রথম দফার ভোট হয়েছে শুক্রবার। ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের কাছে। প্রথম দফার ভোটে বিক্ষিপ্ত অশান্তিও হয়েছে। মার্চের গোড়ায় রাজ্যে এসেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। কমিশন স্পষ্ট করেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সুষ্ঠু, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোটের মূল দায়িত্ব রাজ্য প্রশাসনের। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মূল পরিকল্পনা করবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার, পর্যবেক্ষক। সুষ্ঠু ভোটের জন্যই নবান্নের ওই পদক্ষেপ বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। কোথাও সমস্যা বা অনভিপ্রেত পরিস্থিতি নজরে এলে তার সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্দেশিকাতেও বলা হয়েছে, ‘ইন অর্ডার টু প্রম্পটলি অ্যাটেন্ড টু ইস্যুস্ অ্যারাইজিং ডিউরিং দ্যা প্রোসেস অফ জেনারেল ইলেকশন টু দ্য লোকসভা।’
নবান্নের ছ’তলায় ৫০২ নম্বর ঘরে ওই কন্ট্রোল রুম চালু হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। তবে সব দিন নয়, এটি চালু থাকবে শুধু প্রতি দফা ভোটের আগের দিন এবং ভোটের দিন। যেমন প্রথম দফার ভোট হয়েছে শুক্রবার। নবান্নের ওই কন্ট্রোল রুম শুক্রবার চালু ছিল। তার আগের দিন, বৃহস্পতিবার চালু ছিল। প্রশাসন সূত্রে খবর, ভোটের আগের দিনে দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টা কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে। আর ভোটের দিনে সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চালু থাকবে। কন্ট্রোল রুমে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক থাকবেন, একাধিক কর্মচারী থাকবেন। কবে, কারা এখানে ডিউটিতে থাকবেন, সেই তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, নবান্নের এই কন্ট্রোল রুমের অফিসার ইনচার্জ হিসেবে
যাঁরা দায়িত্ব পেয়েছেন, তাঁদের কেউ সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি পদমর্যাদার, কেউ সিনিয়র ডেপুটি সেক্রেটারি পদমর্যাদার, কেউ ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) পদে রয়েছেন। ভোটের দিন, ভোটের আগের দিন কোন শিফটে কোন আধিকারিক কন্ট্রোল রুমে থাকবেন, সেই ডিউটি- তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকাটি সব জেলায় পাঠানোও হয়েছে।