দলীয় ভাবে প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। জোটের ভবিষ্যৎ স্পষ্ট নয়। তা সত্ত্বেও দক্ষিণ মালদহ লোকসভা আসনে ইশা খান চৌধুরীকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার প্রচার শুরু করল কংগ্রেস। এ দিন বিকেলে বৈষ্ণবনগরের প্রমোদভবনে দলীয় কর্মিসভায় ইশা খান চৌধুরীকে প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করে ব্যানার ঝোলানো হয়েছে। জেলা নেতৃত্বের দাবি, বৈষ্ণবনগর বিধানসভার কর্মীরা আবেগে এই কাজ করে থাকতে পারেন। একই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে দক্ষিণ মালদহের ফরাক্কা, সমশেরগঞ্জ, সুজাপুর ও মানিকচক এলাকাতেও।
গত লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ মালদহ আসনে ৮,২২২ ভোটে জয়ী হয়ে চারবারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হন আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)। ডালু এ বার এই আসনে দাঁড়াতে চাইছেন না বলে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। তাঁর পরিবর্তে, প্রার্থী হিসাবে যে কয়েক জনের নাম প্রস্তাব আকারে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে ডালুর ছেলে ইশার নামও রয়েছে। ইশার রাজনৈতিক হাতেখড়ি ২০১১ সালে। সে বার তিনি বৈষ্ণবনগর আসন থেকে দাঁড়িয়ে জয়ী হন। পরের বার তিনি সুজাপুর থেকে জয়ী হন। গত বিধানসভা নির্বাচনে সুজাপুর আসনে তিনি হেরে যান। গত লোকসভায় তিনি উত্তর মালদহ হারেন। বৈষ্ণবনগরের এ দিন দলীয় কর্মিসভায় ইশা খান প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে প্রচার শুরু করেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি সারওয়ার জাহান বলেন, ‘‘দক্ষিণ মালদহ আসনে বিশেষ করে বৈষ্ণবনগরের কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ চান ইশা খান চৌধুরী প্রার্থী হন। তাই তাঁকে প্রার্থী ঘোষণা করে বৈষ্ণবনগরে প্রচার শুরু হল।’’ ইশা বলেন, ‘‘প্রার্থী কে হবেন, তা ঠিক করবেন হাইকমান্ড।’’ জেলা কংগ্রেস সহ-সভাপতি প্রাক্তন বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, ‘‘কর্মী-সমর্থকেরা চান দক্ষিণ মালদহে ইশা প্রার্থী হোক। আবেগে তাঁরা তাঁকে প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করতে পারেন।’’