প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
লোকসভা ভোটের অষ্টম প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করল কংগ্রেস। বুধবার যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানায় মোট ১৪টি আসনে প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছে তারা। উল্লেখযোগ্য, উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জের কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রিনতের জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে বীরেন্দ্র চৌধরিকে। কঙ্গনা রানাউত নিয়ে বিতর্কের জেরেই কি বাদ পড়লেন সুপ্রিয়া? যদিও দলের তরফে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
হিমাচলের মান্ডির বিজেপি প্রার্থী অভিনেত্রী কঙ্গনাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে কংগ্রেসের অন্দরেই সুপ্রিয়ার বিরুদ্ধে একটা ক্ষোভ ছড়াচ্ছিল। সুপ্রিয়াকে সতর্কও করা হয়। তাঁকে প্রার্থী না করার সিদ্ধান্ত কি সেই কারণেই, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
অন্য দিকে, এই অষ্টম তালিকাতেও পশ্চিবঙ্গের দার্জিলিং কেন্দ্রের কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেননি কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল। দার্জিলিঙের সঙ্গে এই দফাতেই ভোট হবে রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাটে। পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত মোট ন’টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তারা।
অষ্টম তালিকায় যে ১৪টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে তার মধ্যে ঝা়ড়খণ্ড এবং মধ্যপ্রদেশের তিনটি করে, তেলঙ্গানায় চারটি এবং উত্তরপ্রদেশেও চারটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের খুঁটি থেকে প্রার্থী করা হয়েছে কালীচরণ মুণ্ডাকে। লোহারডাগা এবং হজারিবাগ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে সুখদেও ভগত এবং জয়প্রকাশ ভাই পটেলকে। তার মধ্যে খুঁটি এবং লোহারডাগা আসন দু’টি তফসিলি জনজাতির জন্য সংরক্ষিত।
মধ্যপ্রদেশের যে তিনটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে গুনা, দামোহ এবং বিদিশা। গুনা লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন রাও যাদবেন্দ্র সিংহ, দামোহ থেকে তারভার সিংহ লোধী এবং বিদিশা থেকে প্রতাপ ভানু শর্মা। তেলঙ্গানার চারটি আসনের মধ্যে রয়েছে আদিলাবাদ (তফসিলি জনজাতি সংরক্ষিত), নিজ়ামাবাদ, মেডক এবং ভোঙ্গির।
উত্তরপ্রদেশে যে চারটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে কংগ্রেস, তার মধ্যে রয়েছে গাজ়িয়াবাদ, বুলন্দশহর, সীতাপুর এবং মহারাজগঞ্জ। ঘটনাচক্রে, এই মহারাজগঞ্জ আসন থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন সুপ্রিয়া। কিন্তু হেরে যান। এ বার ওই আসনে প্রার্থী হওয়ার জোরালো দাবিদার ছিলেন তিনিই। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তালিকা থেকে তার নাম বাদ পড়ায় ঘুরেফিরে কঙ্গনা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যকেই এর নেপথ্যের কারণ বলে মনে করছেন অনেকে।