—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে একের পর এক রাজ্য ধরে ধরে আসন সমঝোতার পথে এগোচ্ছে। সেই প্রক্রিয়া মেনেই আলোচনা শুরু হবে বাংলাতেও। কংগ্রেস সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়ার রাস্তা কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে বামেদের সঙ্গেই সমঝোতার আলোচনা হবে। তার আগে বৈঠক সেরে নেওয়া হতে পারে প্রদেশ নির্বাচন কমিটির। এই প্রক্রিয়ায় সময় চলে যাচ্ছে বুঝেও আপাতত অপেক্ষারই কৌশল নিচ্ছে সিপিএম।
বহরমপুরে গত সপ্তাহেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের প্রথম পর্বের আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। সেলিম সে দিন বহরমপুরে গেলেও অধীর শেষ পর্যন্ত আলোচনায় বসেননি। সিপিএম সূত্রের খবর, এর পরে দলের রাজ্য সম্পাদকের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বার্তা বিনিময় হয়েছে। সমঝোতার প্রশ্নে এখন কী পরিস্থিতি রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, সিপিএমের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগে প্রদেশ কংগ্রেসের নির্বাচন কমিটির বৈঠক ডাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তার দিনক্ষণ অবশ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আলোচনা শুরু না হলে কংগ্রেস কতগুলি আসন চাইতে পারে, তার কোনও ধারণা নেই সিপিএম নেতৃত্বের কাছে। ফলে, বামফ্রন্টকে তৈরি রাখার কাজও করা যাচ্ছে না। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে প্রাথমিক কথা সেরে তার পরে নওসাদ সিদ্দিকীর আইএসএফের সঙ্গে বৈঠক হবে, এমনই আলোচনা হয়েছে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হওয়ার পরে কংগ্রেসের পরবর্তী বোঝাপড়ার তালিকায় রয়েছে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও বিহার। এই পর্ব মেটাতে ফেব্রুয়ারি মাস লেগে যেতে পারে। এরই পাশাপাশি হেমম্ত সরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ( জেএমএম) বাংলায় একটি আসন চাইছে বলে কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর। সে ক্ষেত্রে বামেদেরও রাজি করাতে হবে। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘এআইসিসি এক একটা রাজ্যে সমঝোতার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হচ্ছে। সেই জন্য খানিকটা সময় লাগছে।’’ আর সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের বক্তব্য, ‘‘কংগ্রেস সমঝোতার বিষয়টা পরিষ্কার না করা পর্যন্ত আমাদের ভোট-প্রস্তুতির অনেক কিছুই আটকে থাকছে।’’