জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ছবি: পিটিআই।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, জ্যোতিরাদিত্য তাঁর শোয়ার ঘরেও ঢুকে পড়ার মতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। সেই জ্যোতিরাদিত্যকে এ বার লোকসভা নির্বাচনে বিপাকে ফেলার জন্য কংগ্রেস তাঁর পুরনো ঘনিষ্ঠকে দলে টানতে চাইছে।
বিজেপি শনিবার লোকসভা ভোটে যে প্রার্থী তালিকা তৈরি করেছে, তাতে মধ্যপ্রদেশের গুনা থেকে জ্যোতিরাদিত্যকে প্রার্থী করা হয়েছে। টিকিট পাননি গুনার বর্তমান বিজেপি সাংসদ কৃষ্ণপাল সিংহ যাদব। কংগ্রেস এ বার কৃষ্ণপালকে দলে টেনে এনে গুনা থেকে প্রার্থী করার চেষ্টা করছে। কৃষ্ণপাল অতীতে কংগ্রেসে ছিলেন। সিন্ধিয়ারই ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। সিন্ধিয়া যখন গুনার সাংসদ ছিলেন, সে সময়ে তিনি তাঁর প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০১৮-য় তিনি বিধানসভা ভোটে টিকিট না পেয়ে বিদ্রোহ করেন। বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯-এ বিজেপি তাঁকে সিন্ধিয়ার বিরুদ্ধে প্রার্থী করে। কৃষ্ণপাল নির্বাচনে সিন্ধিয়াকে বিপুল ভোটে হারান। এর পরে ২০২০-তে সিন্ধিয়া নিজেই বিজেপিতে যোগ দিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন। তিনি ফের গুনার পুরনো লোকসভা আসন ফেরত পেতে চাইছিলেন। তখন থেকেই জল্পনা চলছিল, কৃষ্ণপালকে বিজেপি প্রার্থী না করলে তিনি ফের কংগ্রেসে চলে আসতে পারেন।
কংগ্রেস যে কৃষ্ণপালকে দলে টানার চেষ্টা করছে, সেই ইঙ্গিত দিয়ে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ বলেন, “উনি টিকিট পাননি। ওঁর প্রতি আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। বিজেপি তাদের কাজ করেছে। এ বার আমরা আমাদের কাজ করব।” রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা এখন মধ্যপ্রদেশে। গুনার মধ্যে দিয়েও সেই যাত্রা যাবে। সেই সময়ই কৃষ্ণপাল কংগ্রেসে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সে ক্ষেত্রে তাঁকে গুনা থেকে সিন্ধিয়ার বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হবে। তবে কংগ্রেসে প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি অরুণ যাদবের ঘনিষ্ঠ ছিলেন কৃষ্ণপাল। অরুণের সঙ্গেই এখন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের দূরত্ব বেড়েছে। উল্টো দিকে বিজেপি মধ্যপ্রদেশে মোহন যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী করায় তিনি কংগ্রেসের যাদব নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছেন। এই পরিস্থিতিতে কৃষ্ণপালকে কংগ্রেস টানতে পারবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। বিজেপি সূত্রের খবর, কৃষ্ণপালকে অন্য দায়িত্ব দিয়ে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা হবে। যাতে সিন্ধিয়া গুনায় ফের বিপদে না পড়েন।